মরক্কোতে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ সহিংস, পুলিশের গুলিতে নিহত ২

মরক্কোতে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ সহিংস, পুলিশের গুলিতে নিহত ২
সর্বশেষ আপডেট: 1 ঘণ্টা আগে

মরক্কোতে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ পঞ্চম দিনে সহিংস রূপ ধারণ করেছে। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল।

Morocco Massive Protests: নেপালের সাম্প্রতিক আন্দোলনের পর এবার মরক্কোতেও সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার এই প্রতিবাদ সহিংস রূপ ধারণ করে, যখন বিক্ষোভকারী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পুলিশের গুলিতে অন্তত দুজন নিহত হন। বিক্ষোভকারীরা ক্রমাগত ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যেতে থাকে এবং অনেক জায়গায় সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি সাধন করা হয়।

পাঁচ দিন ধরে চলা বিক্ষোভ

মরক্কোতে এই প্রতিবাদ প্রায় পাঁচ দিন ধরে একটানা চলছে। বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে এবং তারা দিনরাত রাস্তায় জড়ো হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা অনেক জায়গায় গাড়িতে আগুন দিয়েছে এবং প্রশাসনিক ভবনের বাইরে স্লোগান দিয়েছে। রাজধানী রাবাত থেকে প্রায় 500 কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত লেক্লিয়া শহরে পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বল প্রয়োগ করতে হয়েছে, যার ফলে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশের দাবি

মরক্কোর সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘এমএপি’ অনুসারে, স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে পুলিশ আত্মরক্ষায় গুলি চালিয়েছে। পুলিশের দাবি, যাদের গুলি করা হয়েছে, তারা পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। তবে এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশের দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেননি। এছাড়া, এই বিষয়ে অন্য কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।

বিক্ষোভকারীদের দাবি

বিক্ষোভকারীরা বলছেন যে তারা সরকারের নীতি এবং জনসেবার অবস্থা নিয়ে ক্ষুব্ধ। তাদের মতে, প্রশাসন দরিদ্র ও বঞ্চিত শ্রেণির জন্য পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অনেকে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি এবং শিক্ষার মতো বিষয় নিয়েও সরকারের কাছে জবাব চাইছেন। বিক্ষোভকারীরা ক্রমাগত রাস্তায় অবস্থান এবং স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনিক কাজে বাধা সৃষ্টি করছে।

সাম্প্রতিক ঘটনার প্রভাব

মরক্কোতে এই সহিংস বিক্ষোভের ফলে স্থানীয় প্রশাসন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর চ্যালেঞ্জ বেড়েছে। গত কয়েক বছরে নেপাল এবং অন্যান্য দেশেও একই ধরনের বিক্ষোভ দেখা গেছে, যেখানে সরকার ও জনগণের মধ্যে গুরুতর সংঘাত হয়েছে। মরক্কো সরকারের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ যে তারা সহিংসতা বন্ধ করে বিক্ষোভকারীদের দাবি শুনে সমাধান বের করে।

প্রশাসনের জন্য সতর্কতা

আবহাওয়া এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে, কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের রাস্তায় কম যেতে এবং নিরাপদ স্থানে থাকতে আবেদন জানিয়েছে। পুলিশ অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছে। প্রশাসন জানিয়েছে যে আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা অগ্রাধিকার হবে, তবে এটিও জরুরি যে নাগরিকরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করুক।

Leave a comment