অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিসিন (AIIMS) -এ হার্টের রোগীদের চিকিৎসা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি আধুনিক ও দ্রুত হবে। হৃদরোগী, গর্ভস্থ শিশুর হৃদরোগ এবং অপারেশনের জন্য ছয়টি উন্নত মেশিন শীঘ্রই উপলব্ধ হবে।
ভোপাল: অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিসিন (AIIMS) ভোপালে হৃদরোগীদের জন্য একটি বড় স্বস্তি আসতে চলেছে। হাসপাতালে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নতুন কার্ডিয়াক সেটআপ তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে ৬টি অত্যাধুনিক মেশিনও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই নতুন ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর রোগীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না এবং গুরুতর হৃদরোগের দ্রুত চিকিৎসা সম্ভব হবে।
আসন্ন ৬টি নতুন মেশিন এবং তাদের সুবিধা
ভোপাল AIIMS-এর উপ-পরিচালক সন্দেশ জৈন জানিয়েছেন যে এই নতুন সুবিধা কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি (CSR) এর অধীনে উপলব্ধ করা হবে। এই সুবিধার অধীনে একটি হাই-টেক বাইপ্লেন কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব স্থাপন করা হবে। নভেম্বর ২০২৫ থেকে রোগীরা এই সুবিধার সুবিধা নিতে পারবেন।
১. বাইপ্লেন কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব
- দুটি ভিন্ন কোণ থেকে এক্স-রে ছবি প্রদান করে।
- চিকিৎসকদের হৃদয় এবং ধমনীর দ্বৈত দৃশ্য দেখতে সাহায্য করে।
- শিশুদের জন্মগত হৃদরোগ, জটিল ব্লকেজ, ভালভ মেরামত এবং ব্রেন স্ট্রোকের মতো রোগ সনাক্ত করা সহজ হয়।
২. হল্টার মেশিন
- ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত হার্টের স্পন্দন রেকর্ড করে।
- হার্টবিটের অনিয়ম সনাক্তকরণের জন্য উপযোগী।
- বর্তমানে এই পরীক্ষার জন্য রোগীদের দুই মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়, যা নতুন মেশিনের মাধ্যমে কমে যাবে।
৩. আধুনিক ট্রেডমিল এক্সারসাইজ মেশিন
- হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুসের ক্ষমতা পরীক্ষা করে।
- অপারেশনের পর রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার মূল্যায়ন সহজ হয়।
- এখনও পর্যন্ত এই পরীক্ষার জন্য প্রায় ৩-৪ মাস অপেক্ষা করতে হত।
৪. ট্রান্স ইসোফেজিয়াল ইকোকার্ডিওগ্রাফি মেশিন
- ২ডি, ৩ডি এবং ৪ডি হার্টের ছবি প্রদান করে।
- জন্মগত হৃদরোগ এবং হার্ট ভালভের অপারেশনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
৫. অপটিক্যাল কোহেরেন্স টোমোগ্রাফি (OCT)
- ধমনীর ৩ডি দৃশ্য প্রদান করে।
- রক্ত প্রবাহের মূল্যায়ন এবং ওষুধের প্রভাব পরীক্ষা করা সহজ করে তোলে।
৬. ইন্ট্রাভাসকুলার আল্ট্রাসাউন্ড (IVUS)
- ধমনীর ভিতরের হাই-ডেফিনিশন ছবি প্রদান করে।
- ব্লকেজের সঠিক মূল্যায়নে সহায়তা করে।
- চিকিৎসকরা স্টেন্ট বা ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা উচিত কিনা তা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
বর্তমানে ভোপাল AIIMS-এ দুটি কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব রয়েছে, কিন্তু রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। হার্ট অ্যাটাকের মতো কিছু ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা পাওয়া যায় না। AIIMS-এর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ২০০-৩০০ রোগীর অ্যাঞ্জিওগ্রাফি, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি এবং পেসমেকার চিকিৎসা করা হয়। মেশিনের অভাবে ইকো এবং ক্যাথল্যাব পদ্ধতির জন্য ২-৩ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হত।