ভুয়ো মামলা: সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সিবিআই অফিসার রঞ্জিত কুমারের একটি অডিও কল, যেখানে দেখা যাচ্ছে কিভাবে তৃণমূল নেতাদের নামে ভুয়ো মামলা তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। নারদা মামলার সময় প্রথম তদন্তকারী হিসাবে কলকাতায় থাকা রঞ্জিত কুমার উল্লেখ করেছেন, উপর থেকে চাপ দেওয়া হতো এবং বারবার ভুয়ো চার্জশিট তৈরি করতে বলা হতো। তৃণমূল কংগ্রেস আশঙ্কা করছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে একই ধরনের চক্রান্ত পুনরায় সক্রিয় হতে পারে।

ভাইরাল অডিওতে যা শুনেছেন সকলেই
অডিওতে রঞ্জিত কুমারের গলায় স্পষ্টভাবে শোনা যাচ্ছে, তৃণমূল নেতাদের ফাঁসানোর জন্য ফর্জি মামলা তৈরি করতে হবে। বারবার নোটিশ পাঠানো এবং চার্জশিটে নেতাদের নাম রাখার নির্দেশ এসেছিল। নারদা মামলার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে রঞ্জিত জানিয়েছেন, রাজনৈতিক চাপের কারণে ওই সময় তার উপর চাপ তৈরি করা হতো।
তৃণমূলের উদ্বেগ ও নির্বাচনী প্রভাব
রাজ্যের শাসকদল আশঙ্কা করছে, ২০২৬ বিধানসভা ভোটের আগে একই ধরনের চক্রান্ত পুনরায় চালু হতে পারে। দলের বক্তব্য অনুযায়ী, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নেতাদের ফাঁসানো হচ্ছিল এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের সুবিধা দেওয়া হচ্ছিল। তৃণমূলের সূত্রে জানা গেছে, এই অডিও প্রমাণ হিসেবে দলের অভ্যন্তরীণ দাবি শক্তিশালী করছে।

নারদা মামলার প্রেক্ষাপট ও রাজনৈতিক চাপে রঞ্জিত কুমার
নারদা মামলার সময় রঞ্জিত কুমার কলকাতায় ছিলেন প্রথম তদন্তকারী অফিসার। অডিওতে তিনি বলেছেন, শীর্ষ পর্যায় থেকে চাপ আসত, যাতে চার্জশিটে নেতাদের নাম রাখা হয়। যদিও শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়ের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর চিত্র বদলেছে। তার পরেও রাজনৈতিক চাপের মুখে তিনি কলকাতা ত্যাগ করে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হন।
ভুয়ো তথ্য ও আদালতের প্রভাব
রঞ্জিত কুমারের দাবি, যে তথ্য দিয়ে নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তা ভুয়ো ছিল। একই সময়ে ভিডিও রেকর্ডিং করা হলেও তা আদালতে প্রমাণ হিসেবে পেশ করা হয়। এই অডিও প্রমাণ দেখাচ্ছে, যে সমস্ত অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস উল্লেখ করেছিল, তার অনেকটাই সত্য।

ভুয়ো মামলা: ভাইরাল অডিওতে দেখা যাচ্ছে, সিবিআই অফিসার রঞ্জিত কুমার তৃণমূল নেতাদের নামে ভুয়ো মামলা তৈরির নির্দেশ পেয়েছিলেন। নারদা মামলার প্রেক্ষাপটে অডিওতে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক চাপের কারণে চার্জশিটে নেতাদের নাম রাখা হতো। তৃণমূল আশঙ্কা করছে, ২০২৬ বিধানসভা ভোটের আগে আবার একই ধরনের চক্রান্ত চলতে পারে।












