महाराष्ट्र সরকার অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিশ তাদের একটি কালো তালিকা প্রস্তুত করতে, রেশন কার্ড যাচাই করতে এবং নতুন নির্দেশিকা জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে রাজ্যে নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা যায়।
মুম্বাই: মহারাষ্ট্র সরকার রাজ্যে ক্রমবর্ধমান অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের সমস্যা মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নির্দেশে রাজ্য প্রশাসন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের একটি কালো তালিকা প্রস্তুত করতে এবং তাদের রেশন কার্ড যাচাই নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে। এর পাশাপাশি, নতুন রেশন কার্ডের জন্য কঠোর নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।
সরকার স্পষ্ট করেছে যে অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করছে। এই কারণে, সমস্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা একটি কালো তালিকা প্রস্তুত করে এবং নিশ্চিত করে যে অবৈধ অভিবাসীরা কোনো সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধা নিতে না পারে।
এটিএস এবং সরকারি বিভাগগুলিকে নির্দেশ
মহারাষ্ট্র সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ আলোচনা সভার আয়োজন করে এটিএস-কে গৃহীত পদক্ষেপের একটি প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে। এটিএস-কে এটি নিশ্চিত করতে হবে যে অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের কোনো নথি সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্পে ব্যবহার করা যাবে না।
সরকার ১,২৭৪ জন অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীর তালিকার নথি পরীক্ষা ও যাচাই করার নির্দেশও দিয়েছে। যদি কোনো অভিবাসীর নামে কোনো সরকারি নথি জারি করা হয়, তবে তা তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল, স্থগিত বা নিষ্ক্রিয় করা হবে। এর পাশাপাশি, এর প্রতিবেদন ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সরকারের কাছে পাঠানো হবে।
রেশন কার্ড যাচাইয়ে কঠোর নিয়ম প্রয়োগ

মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছে যে যদি স্থানীয় প্রতিনিধির সুপারিশে কোনো রেশন কার্ড বিতরণ করা হয়, তবে আবেদনকারীর নথি এবং আবাসস্থলের কঠোর যাচাইকরণ করা হবে। নতুন রেশন কার্ডের জন্য সমস্ত প্রক্রিয়াতে কঠোর নির্দেশিকা অনুসরণ করা হবে।
এই পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে যে অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীরা কোনো সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবে না, যার ফলে রাজ্যের নিরাপত্তা এবং সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হবে।
অবৈধ অভিবাসীদের তালিকা অনলাইনে প্রকাশ
সরকার আরও জানিয়েছে যে আটককৃত অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের তালিকা বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এর ফলে আঞ্চলিক ও বিভাগীয় কার্যালয়গুলি সতর্ক থাকতে পারবে এবং অবৈধ অভিবাসীদের উপর নজর রাখতে পারবে। এই পদক্ষেপ মহারাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রণ এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।













