বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এ নির্বাচন কমিশন প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার করেছে। ভোটার ও প্রার্থীদের জন্য চারটি অ্যাপ ও পোর্টাল চালু করা হয়েছে, যার মধ্যে ভোটার তালিকা পরীক্ষা করা, ভোটার আইডি ডাউনলোড করা, প্রার্থীর তথ্য পাওয়া এবং নির্বাচনে অনিয়ম রিপোর্ট করার মতো সুবিধাগুলি অন্তর্ভুক্ত। এই উদ্যোগটি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও সহজ করার জন্য নেওয়া হয়েছে।
বিহার বিধানসভা নির্বাচন অ্যাপস: বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এ ভোটার ও প্রার্থীদের সুবিধার জন্য নির্বাচন কমিশন চারটি প্রধান অ্যাপ ও পোর্টাল চালু করেছে। এই অ্যাপগুলি হলো VHA, cVigil, KYC এবং Suvidha 2.0, যা ভোটার তালিকা পরীক্ষা করা, ভোটার আইডি ডাউনলোড করা, প্রার্থীদের সম্পত্তি ও ক্রিমিনাল রেকর্ড জানা এবং নির্বাচনে অনিয়ম রিপোর্ট করার মতো পরিষেবা প্রদান করে। এই প্রযুক্তিগত উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো ভোটদান প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, সুরক্ষিত ও সরল করা, যাতে সমস্ত স্টেকহোল্ডাররা সহজেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।
নির্বাচনে প্রযুক্তির পূর্ণ ব্যবহার
বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এর জন্য নির্বাচন কমিশন প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের কথা ঘোষণা করেছে। প্রথম দফায় ৬ নভেম্বর এবং দ্বিতীয় দফায় ১১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ হবে, আর ফল ঘোষণা করা হবে ১৪ নভেম্বর। ভোটার ও প্রার্থী উভয়ের জন্যই নির্বাচন কমিশন চারটি অ্যাপ ও পোর্টাল চালু করেছে, যা ভোটার আইডি, ভোটার তালিকা, প্রার্থীর তথ্য এবং অভিযোগ নথিভুক্ত করার মতো সুবিধা প্রদান করবে।
ভোটারদের জন্য VHA এবং cVigil অ্যাপ
VHA অ্যাপটি বিশেষভাবে ভোটারদের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই অ্যাপে ভোটাররা তাদের নাম ভোটার তালিকায় পরীক্ষা করতে পারেন, ভোট কেন্দ্রের তথ্য পেতে পারেন এবং BLO-এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ভোটার তালিকা বা কার্ডে সংশোধনের জন্য ফর্ম এবং e-EPIC ডাউনলোডের সুবিধাও এতে উপলব্ধ।
cVigil অ্যাপটি ভোটদানের সময় যেকোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির রিপোর্ট করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই অ্যাপে নথিভুক্ত অভিযোগগুলির উপর ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, যার ফলে নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ থাকে।
প্রার্থীদের জন্য KYC এবং Suvidha পোর্টাল
KYC (Know Your Candidate) অ্যাপটি ভোটারদের তাদের এলাকার প্রার্থীদের সম্পত্তি, শিক্ষা, ক্রিমিনাল রেকর্ড-এর মতো তথ্য উপলব্ধ করে। এর মাধ্যমে ভোটাররা তাদের প্রার্থী সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য সহজেই পেতে পারেন।
Suvidha পোর্টাল এবং Suvidha 2.0 অ্যাপটি প্রার্থীদের জন্য মনোনয়ন দাখিল, নির্বাচনী প্রচারের অনুমতি এবং অনলাইন হলফনামা জমা দেওয়ার মতো সুবিধা প্রদান করে। এটি প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং প্রশাসনিক কাজকে সরল করে তোলে।
প্রযুক্তিগত উন্নতি এবং ব্যাপক প্রস্তুতি
নির্বাচন কমিশন এবার ভোটার তালিকায় ব্যাপক উন্নতি করেছে। ভোটাররা তাদের নাম এবং নির্বাচন সম্পর্কিত তথ্য অ্যাপস ও পোর্টালের মাধ্যমে সহজেই পরীক্ষা করতে পারবেন। প্রযুক্তিগত সুবিধার মাধ্যমে ভোটার ও প্রার্থীদের জন্য আরও বেশি স্বচ্ছতা ও সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে।