সংবলে কল্কি মহোৎসব চলাকালীন শিক্ষা বিভাগের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী সত্যেন্দ্র পাঠক (২৬) হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তাররা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ স্পষ্ট হবে।
সংবল: উত্তরপ্রদেশের সংবল জেলায় সোমবার আয়োজিত কল্কি মহোৎসব চলাকালীন একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শন কার্যালয়ে নিযুক্ত চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী সত্যেন্দ্র পাঠক (২৬) হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁকে অবিলম্বে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু ডাক্তাররা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সত্যেন্দ্র পাঠকের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু
সত্যেন্দ্র পাঠক বানিয়াথের থানা এলাকার গুমথল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। সোমবার সংবলে আয়োজিত কল্কি মহোৎসবে তাঁর ডিউটি ছিল। দুপুর প্রায় আড়াইটা নাগাদ হঠাৎ তাঁর বুকে তীব্র ব্যথা হয় এবং তিনি সেখানেই লুটিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর্মীরা দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাঁকে বহজোই জেলা হাসপাতালে পৌঁছান, কিন্তু ডাক্তাররা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে যে ঘটনাটি হৃদরোগের কারণে ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরই স্পষ্ট হবে।
সত্যেন্দ্র পাঠকের মৃত্যুতে কল্কি মহোৎসব বন্ধ
কল্কি মহোৎসব চলাকালীন হঠাৎ ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনায় অনুষ্ঠানের পরিবেশ শোকাহত হয়ে পড়ে। আয়োজক এবং উপস্থিত সকলের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা দেয় এবং অনুষ্ঠান কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।
মহোৎসবে উপস্থিত লোকজন জানিয়েছেন যে সত্যেন্দ্র পাঠক সব সময় তাঁর কাজে নিবেদিতপ্রাণ এবং হাসিখুশি ছিলেন। তাঁর হঠাৎ মৃত্যু সকলের কাছেই আশ্চর্যজনক এবং দুঃখজনক।
পাঠকের মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া
সত্যেন্দ্র পাঠকের মৃত্যুতে তাঁর পরিবারে শোকের মাতম চলছে। মৃতের দশ দিন আগেই বিয়ে ঠিক হয়েছিল, কিন্তু এই আকস্মিক মৃত্যু পরিবার ও স্বজনদের সব আনন্দ কেড়ে নিয়েছে। পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পুলিশ জানিয়েছে যে পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। স্থানীয় প্রশাসনও পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।