বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় সিনহা EPIC নম্বর এবং বয়স বিতর্ক নিয়ে তাঁর ম্যাট্রিক ডিগ্রীকে প্রকাশ্যে এনে সাফাই দিলেন। তিনি বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব এবং রাহুল গান্ধীর উপর তীব্র আক্রমণ করে বলেন, যাঁরা তাঁর ডিগ্রি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের তিনি আইনি নোটিস পাঠাবেন।
পাটনা: বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় কুমার সিনহা বুধবার EPIC নম্বর এবং বয়স বিতর্ক নিয়ে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেন এবং বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর উপর তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন যে তাঁর ম্যাট্রিকের ডিগ্রি প্রকাশ্যে এনে তিনি সমস্ত অভিযোগের জবাব দিয়েছেন এবং এখন যাঁরা তাঁর ডিগ্রি বা বয়স নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন, তাঁদের আইনি নোটিস পাঠানো হবে।
বিজয় সিনহা বলেন যে বিরোধী দলগুলি তাঁর ডিগ্রি নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন যে নির্বাচন কমিশন দ্বারা পাঠানো নোটিশের তিনি জবাব দিয়েছেন এবং তাঁর পাটনার EPIC নম্বর এখন সংশোধন করা হয়েছে।
EPIC নম্বর বিতর্ক এবং বয়স নিয়ে সাফাই
উপমুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন যে EPIC নম্বরের ভুলটি প্রযুক্তিগত ছিল এবং এটি সংশোধন করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমার ম্যাট্রিক ডিগ্রি অনুযায়ী ২০২৪ সালে আমার বয়স ৫৭ বছর। এই তথ্যের ভিত্তিতে আমার বিরোধীদের অভিযোগের কোনও ভয় নেই। যদি আরজেডি এবং কংগ্রেসের সাহস থাকে, তবে তাঁরাও তাঁদের শিক্ষা এবং শংসাপত্র প্রকাশ্যে আনুক।'
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনাটি দেখায় যে ডিজিটাল ডেটা এবং ভোটার আইডির মতো তথ্য রাজনৈতিক বিশ্বাস এবং স্বচ্ছতার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। EPIC নম্বর এবং ডিজিটাল রেকর্ডের যাচাইকরণ ভবিষ্যতে রাজনৈতিক বিতর্ক কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।
তেজস্বী যাদব এবং রাহুল গান্ধীকে নিশানা
বিজয় সিনহা অভিযোগ করেন যে কংগ্রেস এবং আরজেডি নেতারা চাকরির বদলে জমি নেওয়ার মতো কথা বলেন, কিন্তু এখন তাঁর ডিগ্রি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তিনি বলেন, 'যারা ছাত্রদের ছয় বছরে গ্র্যাজুয়েশন দিত, তাদের মুখে বয়স নিয়ে প্রশ্ন তোলা হাস্যকর। আমি আমার ডিগ্রি সকলের সামনে রেখেছি।'
এই মধ্যে তিনি বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ জানান যে তাঁরাও তাঁদের ডিগ্রি এবং বয়সের প্রমাণ প্রকাশ্যে আনুক। তাঁর এই পদক্ষেপ প্রমাণ করে যে আজকের রাজনীতিতে ডিজিটাল প্রমাণ এবং স্বচ্ছতা নেতাদের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করার নতুন হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।
পাপ এবং রাজনৈতিক বিতর্ক
বিজয় সিনহা তাঁর তীব্র মনোভাবও পুনরায় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, 'আমরা পাপ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়েছি, তোমার বাবার বিরুদ্ধে লড়েছি এবং তোমার বিরুদ্ধেও লড়ব। যাঁরা আমার ডিগ্রি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাঁদের আমি আইনি নোটিস পাঠাব।'
তিনি লালু যাদব এবং রাবড়ি দেবীকেও তাঁদের পুত্রদের বয়স এবং ডিগ্রি নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার চ্যালেঞ্জ জানান। এই বক্তব্য বিহারের রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।