বিহার নির্বাচন ২০২৫: আরারিয়া আসনে কংগ্রেস, এলজেপি এবং জনসুরাজের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা

বিহার নির্বাচন ২০২৫: আরারিয়া আসনে কংগ্রেস, এলজেপি এবং জনসুরাজের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা

বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এ আরারিয়া আসনে কংগ্রেস এবং লোক জনশক্তি পার্টির মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা রয়েছে। এইবার নির্বাচনী ময়দানে কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোরের নতুন দল জনসুরাজও অন্তর্ভুক্ত, যা নির্বাচনী সমীকরণ পরিবর্তন করতে পারে।

বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫: আরারিয়া আসনে এইবার নির্বাচনী লড়াই কঠিন হতে চলেছে। আরারিয়ায় গত দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস এবং লোক জনশক্তি পার্টি জয়লাভ করেছে, যে কারণে এই আসনে কার অধিকার থাকবে তা অনিশ্চিত। রাজনৈতিক দলগুলি প্রচার জোরদার করেছে, যেখানে নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোরের দল জনসুরাজও এইবার ময়দানে রয়েছে, যা ভোটের বিভাজনকে প্রভাবিত করতে পারে। ২০২৫-এর নির্বাচনে আরারিয়ার আসনে এই সবের মধ্যে রাজনৈতিক সংঘাত দেখতে পাওয়া যাবে।

আরারিয়া আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আশা

বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এ আরারিয়া আসনের রাজনৈতিক আবহাওয়া বেশ গরম। গত দুটি নির্বাচনে এই আসনে ক্ষমতার পালাবদল বার বার হয়েছে — ২০২০ সালে কংগ্রেস (INC) জয়লাভ করে, যেখানে ২০১৫ সালে লোক জনশক্তি পার্টি (LJP) বাজিমাত করেছিল। এইবারও এখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশা রয়েছে, কারণ সমস্ত প্রধান দল পুরো শক্তি দিয়ে নির্বাচনী ময়দানে রয়েছে। এছাড়াও, নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোরের নতুন দল ‘জনসুরাজ’ও এই আসনে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টায় রয়েছে, যা নির্বাচনী সমীকরণকে প্রভাবিত করতে পারে।

রাস্তায় জোরদার প্রচার এবং মিছিলের মধ্যে প্রত্যেক প্রার্থী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে ব্যস্ত। বিশেষ করে ‘জনসুরাজ’-এর মিছিলে বিপুল জনসমাগম এই আসনের রাজনীতিতে নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। প্রশান্ত কিশোর নিজেই মনে করেন যে তাঁর দল হয় এই নির্বাচনে সাফল্যের শিখরে পৌঁছবে অথবা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জনসুরাজ এইবার ‘ভোট কাটুয়া’ দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে, যা আরারিয়া সহ অন্যান্য অনেক আসনে ঐতিহ্যবাহী দলগুলির রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারে।

আরারিয়া আসনের গত দুটি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল

আরারিয়া বিধানসভা ক্ষেত্র বিহারের ২৪৩টি নির্বাচনী এলাকার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন। ২০২০ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের আবিদুর রহমান বড় জয়লাভ করেন, তিনি মোট ১,০৩,০৫৪টি ভোট পান। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন জেডিইউ-এর শগুফতা আজিম, যিনি ৫৫,১১৮টি ভোট পান, যেখানে এআইএমআইএম-এর এমডি রাশিদ আনোয়ার তৃতীয় স্থানে ছিলেন। এই নির্বাচন কংগ্রেসের জন্য নির্ণায়ক প্রমাণিত হয়।

অন্যদিকে, ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লোক জনশক্তি পার্টির অজয় কুমার झा জয়লাভ করেছিলেন, যিনি ৫২,৬২৩টি ভোট পান। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআই-এর ডিআর (ক্যাপ্টেন) এস.আর. झा এবং তৃতীয় স্থানে ছিলেন जाप (লো)-এর হায়দার ইয়াসিন। এই ফলাফল থেকে বোঝা যায় যে আরারিয়ায় ভোটারদের ঝোঁক ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে, যা এইবারের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।

আরারিয়ায় কার হবে জয়

এইবারের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আরারিয়া আসনে প্রধান লড়াই কংগ্রেস, এলজেপি এবং জনসুরাজের মধ্যে হবে। রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ‘জনসুরাজ’-এর প্রবেশ ঐতিহ্যবাহী দলগুলির ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল কোন দিকে ঝুঁকবে, তা জনগণের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে জনসুরাজের অংশগ্রহণ ভোটকে বিভক্ত করতে পারে, যার ফলে জয়লাভের অনুমান করা আরও কঠিন হয়ে যাবে। এই কারণে আরারিয়ার এই আসনে ২০২৫ সালের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং নাটকীয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Leave a comment