বিহার নির্বাচনের আগে আরজেডি এবং বিজেপি বড় ধাক্কা খেল, দেবেন্দ্র কুশওয়াহা এবং জনার্দন যাদব দল ছাড়লেন। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরজেডির দেবেন্দ্র কুশওয়াহা এবং বিজেপির জনার্দন যাদব তাঁদের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। দুই নেতার ইস্তফায় রাজ্যের রাজনীতি এবং আসন্ন নির্বাচনী কৌশলের উপর প্রভাব পড়বে।
বিহার নির্বাচন ২০২৫: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের রাজনীতিতে অস্থিরতা বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা (রালোমো) এবং বিজেপি উভয় প্রধান দলই বড় ধাক্কা খেয়েছে। রালোমোর এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা দেবেন্দ্র কুশওয়াহা দল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, আর বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক জনার্দন যাদবও তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এই ঘটনাগুলি আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে দিতে পারে এবং উভয় দলের জন্যই উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
দেবেন্দ্র কুশওয়াহা রালোমো থেকে ইস্তফা দিলেন
শেখপুরা থেকে রালোমোর ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবে পরিচিত দেবেন্দ্র কুশওয়াহা দলের প্রাথমিক সদস্যপদ এবং সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। শুক্রবার শেখপুরায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই তথ্য জানান। দেবেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়েছেন যে তিনি আপাতত অন্য কোনো দলে যোগ দেবেন না। তাঁর বক্তব্য, তাঁর মূল লক্ষ্য শেখপুরার স্থানীয় সমস্যা এবং জনগণের বিষয়গুলি তুলে ধরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এই পদক্ষেপকে বিধানসভা নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত করে দেখছেন। ধারণা করা হচ্ছে যে দেবেন্দ্র কুশওয়াহা ভবিষ্যতে নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন লড়তে পারেন। তাঁর স্ত্রী বর্তমানে জেলার কাসার পঞ্চায়েতের প্রধান। এছাড়াও, দেবেন্দ্র রালোমোতে উপেন্দ্র কুশওয়াহার ঘনিষ্ঠ নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন এবং দলের দ্বিতীয় প্রধান স্তম্ভের নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর ইস্তফায় রালোমোর নির্বাচনী কৌশলে চ্যালেঞ্জ বাড়তে পারে।
নির্দলীয় নির্বাচনের সম্ভাবনা
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেবেন্দ্র কুশওয়াহার নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন লড়া শেখপুরার রাজনীতিকে যথেষ্ট প্রভাবিত করতে পারে। তাঁর জনপ্রিয়তা এবং স্থানীয় স্তরে তাঁর দখল তাঁকে নির্বাচনে এক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় করে তুলতে পারে। তাঁর বক্তব্য যে তিনি স্থানীয় সমস্যাগুলির জন্য লড়াই করবেন, যার ফলে জনগণের সরাসরি লাভ হবে। এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, কারণ এর ফলে রালোমোর প্রভাব দুর্বল হতে পারে এবং নির্বাচনী সমীকরণ পরিবর্তিত হতে পারে।
বিজেপিও ধাক্কা খেল
একই সময়ে, বিহারের রাজনীতিতে বিজেপিও বড় ধাক্কা খেয়েছে। নরপতগঞ্জ বিধানসভা থেকে চারবারের বিধায়ক জনার্দন যাদব বিজেপি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁর ইস্তফায় দলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। জনার্দন যাদব তাঁর ইস্তফার কারণ স্পষ্ট করে বলেছেন যে বিহারে দুর্নীতি চরমে পৌঁছেছে। তিনি বলেছেন যে থানা, ব্লক কার্যালয় এবং অন্যান্য সরকারি বিভাগে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হচ্ছে না।
জনার্দন যাদব এও বলেছেন যে বর্তমান বিজেপি বিধায়ক জনগণের সেবায় সক্ষম নন এবং কার্যালয়গুলিতে কাজ সুচারুভাবে চলছে না। এছাড়াও, তিনি দলের দ্বারা নিজের এবং পুরনো নেতাদের প্রতি অবহেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, জেলার পুরনো বিজেপি কর্মী ও নেতাদের কোনো গুরুত্ব নেই। প্রাক্তন বিধায়ক হওয়ায় জনগণ আজও তাঁর কাছে বহু সমস্যার সমাধানের জন্য আসে, কিন্তু সরকারি কার্যালয়গুলিতে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না।