বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এর প্রথম দফায় ৬ নভেম্বর ভোট গ্রহণ করা হবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩২% প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত আছে এবং ৪০% এর বেশি প্রার্থী কোটিপতি। দলীয় বিশ্লেষণে আরজেডি, বিজেপি এবং কংগ্রেস সহ বেশ কিছু প্রার্থী গুরুতর অভিযোগে জড়িত বলে পাওয়া গেছে।
Bihar Election Watch: বিহার বিধানসভা নির্বাচন ২০২৫-এ মোট ২৪৩টি আসনের জন্য প্রথম দফার ভোট ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। গণনা হবে ১৪ নভেম্বর। নির্বাচনের আগে এডিআর (Association for Democratic Reforms) এবং বিহার ইলেকশন ওয়াচ (Bihar Election Watch)-এর রিপোর্ট প্রার্থীদের ফৌজদারি ও আর্থিক পটভূমির তথ্য প্রকাশ করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এবার ৩২ শতাংশ প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত আছে এবং ৪০ শতাংশের বেশি প্রার্থী কোটিপতি।
ফৌজদারি মামলার বৃদ্ধি
এডিআর এবং বিহার ইলেকশন ওয়াচ দ্বারা দাখিল করা ১,৩১৪টি হলফনামার মধ্যে ১,৩০৩টি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। রিপোর্টে দেখা গেছে যে ৪২৩ জন প্রার্থী (৩২%) তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে ৩৫৪ জন প্রার্থী (২৭%) গুরুতর অভিযোগে অভিযুক্ত, যেমন খুন, খুনের চেষ্টা এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ। মোট ৩৩ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রয়েছে, ৮৬ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে এবং ৪২ জন প্রার্থী মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধে জড়িত বলে পাওয়া গেছে। দুইজন প্রার্থী তাঁদের হলফনামায় ধর্ষণের অভিযোগও ঘোষণা করেছেন।
দলীয় পরিসংখ্যান

দলীয় বিশ্লেষণে সিপিআই এবং সিপিএম-এর পাঁচ-পাঁচজন প্রার্থী (১০০%) এর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত পাওয়া গেছে। অন্যান্য প্রধান দলগুলির মধ্যে সিপিআই (এমএল)-এর ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জন (৯৩%), আরজেডি-এর ৭০ জনের মধ্যে ৫৩ জন (৭৬%), বিজেপি-এর ৪৮ জনের মধ্যে ৩১ জন (৬৫%), কংগ্রেস-এর ২৩ জনের মধ্যে ১৫ জন (৬৫%), এলজেপি (রামবিলাস)-এর ১৩ জনের মধ্যে ৭ জন (৫৪%) এবং জেডিইউ-এর ৫৭ জনের মধ্যে ২২ জন (৩৯%) প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত আছে। আম আদমি পার্টির ৪৪ জনের মধ্যে ১২ জন (২৭%), বিএসপি-এর ৮৯ জনের মধ্যে ১৮ জন (২০%) এবং জন সুরাজ পার্টির ১১৪ জনের মধ্যে ৫০ জন (৪৪%) প্রার্থী তাঁদের ফৌজদারি পটভূমি ঘোষণা করেছেন।
কোটিপতিদের সংখ্যা
রিপোর্ট অনুযায়ী, এই নির্বাচনে ৫১৯ জন প্রার্থী কোটিপতি। তাঁদের গড় সম্পত্তি ৩.২৬ কোটি টাকা। এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায় যে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ধনশক্তির (financial power) বড় প্রভাব রয়েছে। সম্পত্তির ক্ষেত্রে বেশিরভাগ প্রার্থী তাঁদের মোট অস্থাবর ও স্থাবর সম্পত্তির বিবরণ দিয়েছেন।
প্রার্থীদের শিক্ষা
শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে ৫১৯ জন প্রার্থী (৪০%) পঞ্চম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অর্জন করেছেন। অন্যদিকে, ৬৫১ জন প্রার্থী (৫০%) স্নাতক বা তার চেয়ে উচ্চতর শিক্ষাগত ডিগ্রির অধিকারী। এটি দেখায় যে বিহার বিধানসভায় শিক্ষিত প্রার্থীর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।













