বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) নিয়ে বিরোধীদের প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করেছে যে ভোটার তালিকায় কোনো অবৈধতা বা গড়মিল প্রমাণিত হলে, বিশেষ নিবিড় সংশোধনের ফলাফল বাতিল করা যেতে পারে।
পাটনা: বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধন (Special Intensive Revision - SIR) নিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিতর্ক তীব্র হয়ে উঠেছে। বিরোধী দল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত এই প্রক্রিয়ার তীব্র বিরোধিতা করছেন। এই পরিস্থিতিতে, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছে।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে ভোটার তালিকায় কোনো ধরনের অবৈধতা পাওয়া গেলে বিহারে চলমান এই এসআইআর-এর ফলাফল সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বাতিল করা যেতে পারে। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকায় ব্যাপক সংশোধন নিয়ে ওঠা বিতর্কের ওপর উচ্চ আদালতের শুনানির সময় এই রায় এসেছে।
বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) কী?
এসআইআর-এর উদ্দেশ্য হল ভোটার তালিকা পরিচ্ছন্ন করা এবং সেখানে নথিভুক্ত অবৈধ বা মৃত ভোটারদের বাদ দেওয়া। বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক এই প্রক্রিয়াটি চালু করা হয়েছে, যাতে নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছ হয়। যদিও, বিরোধী দল এবং অনেক নাগরিক সংগঠনের বক্তব্য হল, এই প্রক্রিয়া সাংবিধানিক অধিকারের লঙ্ঘন করছে এবং অনেক নাগরিককে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে যদি এই এসআইআর প্রক্রিয়ায় অবৈধতা প্রমাণিত হয়, যেমন ভোটার তালিকা থেকে কাউকে ভুলভাবে বাদ দেওয়া বা নথিপত্রের ভিত্তিতে অবিচার হওয়া, তাহলে নির্বাচন কমিশনের এই সংশোধনের ফলাফল বাতিল করা যেতে পারে। আদালত স্পষ্ট করেছে যে যদি নথি যাচাইয়ে কোনো গড়বড় পাওয়া যায়, তাহলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া স্থগিত হতে পারে। এই শুনানি उन याचिकाओं पर हो रही है, जिनमें নির্বাচন কমিশনের मतदाता পুনঃ যাচাইকরণ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে।
আবেদনকারীদের যুক্তি
আবেদনকারীরা আদালতে যুক্তি দিয়েছেন যে নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকায় নাগরিকত্ব নির্ধারণের অধিকার নেই। তাঁদের বক্তব্য, নাগরিকত্ব সংক্রান্ত বিষয়গুলির অধিকার শুধুমাত্র কেন্দ্র সরকারের, বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে রয়েছে। তাঁরা বলেন যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নথিপত্র চাওয়া এবং আধার কার্ডের মতো প্রমাণকে নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য যথেষ্ট না মানার বিষয়টি ভুল। আবেদনকারীদের আরও বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের কাজ শুধুমাত্র ভোটারদের পরিচয় নিশ্চিত করা, তাঁদের নাগরিকত্ব নির্ধারণ করা নয়।
নির্বাচন কমিশন তাদের তরফে স্পষ্ট করেছে যে এসআইআর প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ভোটার তালিকার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানো এবং নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। কমিশন বলেছে যে এই পদক্ষেপ দেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয়। নির্বাচন কমিশনের আরও বক্তব্য, তাঁরা কোনো ব্যক্তির ভোটাধিকার বিনা যথাযথ প্রক্রিয়ায় কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেননি এবং সমস্ত অভিযোগকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।