নতুন বিয়ে, নতুন জীবন—কিন্তু প্রেমের গহ্বরেই লুকানো ছিল ভয়ঙ্কর বাস্তব। উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর জেলায় এক যুবক নিজের স্ত্রীর হাতে নৃশংস আঘাতের শিকার হয়েছেন। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে স্ত্রী ব্লেড দিয়ে তার গোপনাঙ্গে আঘাত করেন, যার ফলে রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
বিয়ের চার মাসেই সম্পর্কের অবনতি
মান্দাওয়ার থানার সিমলা কালা গ্রামে ঘটে এই ঘটনায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। চাঁদবীর, যিনি এ বছরের এপ্রিল মাসে আলিপুরা জাট এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে করেন, মাত্র চার মাসের মধ্যে স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনার তীব্র অবনতির মুখোমুখি হন। স্ত্রীর আচরণে ক্রমশ অসন্তুষ্টি, অচেনা পুরুষদের সঙ্গে ফোনালাপ ও হঠাৎ আক্রমণাত্মক মনোভাব সম্পর্কের দূরত্ব বাড়ায়।
সহবাসের সময় আকস্মিক নৃশংসতা
২০ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টার দিকে দম্পতির মধ্যে তুমুল ঝগড়ার সময় ঘটনাটি ঘটে। চাঁদবীর অভিযোগ করেন, সহবাসের চেষ্টা করার সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রী কাছে রাখা ব্লেড দিয়ে তার গোপনাঙ্গে আঘাত করেন। তীব্র ব্যথায় চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন।
হাসপাতালের তড়িৎ চিকিৎসা, সাতটি সেলাই
আহত চাঁদবীরকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, গোপনাঙ্গে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। সাতটি সেলাই করে তার জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়। বর্তমানে তিনি বিপদমুক্ত হলেও আঘাতের তীব্রতা ও নৃশংসতার চিত্র পুরো এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
থানায় লিখিত অভিযোগ
চিকিৎসার পর চাঁদবীর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, স্ত্রী ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানি করছেন এবং ভবিষ্যতে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করতে পারেন।
পুলিশি তদন্ত ও পদক্ষেপ
মান্দাওয়ার থানার ইনচার্জ জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ মেডিকেল রিপোর্ট ও সাক্ষীদের বিবৃতি যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। অভিযুক্ত মহিলা এখনও গ্রেফতার হননি, শিগগিরই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গ্রামে তীব্র আলোচনার ঝড়
গ্রামের মানুষ এই ঘটনা নিয়ে তীব্র আলোচনায় ব্যস্ত। তারা মনে করছেন, বিবাহিত জীবনের এত দ্রুত সহিংসতায় পৌঁছানো সমাজের জন্য সতর্কবার্তা। অনেকেই এটিকে আধুনিক যুগের পরিবর্তিত সম্পর্কের প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন।