বিকানেরে এক বিবাহিত মহিলা নাবালক ছেলেকে যৌন নির্যাতন ও ব্ল্যাকমেল করেছেন। তিনি একটি মিথ্যা ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছিলেন। পুলিশ তদন্ত করে মহিলাকে পকসো আইনের অধীনে গ্রেপ্তার করে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে।
বিকানের: রাজস্থানের বিকানের জেলার ন্যাপাসার থানা এলাকা থেকে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। এখানে ২৪ বছর বয়সী এক বিবাহিত মহিলাকে নাবালক ছেলের উপর যৌন নির্যাতন ও ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মহিলা প্রাথমিকভাবে নিজেকে নির্যাতিতা দেখিয়ে নাবালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। পুলিশের তদন্তে এই পুরো ঘটনাটি প্রকাশিত হয় এবং অভিযুক্ত মহিলাকে পকসো আদালতে পেশ করে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়।
মহিলা নাবালকের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে ব্ল্যাকমেল করেন
থানা আধিকারিক লক্ষণ সুথার জানিয়েছেন যে প্রায় দুই মাস আগে দায়ের করা মামলার তদন্তের সময় পুলিশ দেখতে পায় যে মহিলা নিজেই নাবালককে যৌন নির্যাতন করছিলেন। যখন ছেলেটি মহিলার দাবি মানতে অস্বীকার করে, তখন সে তাকে হুমকি দিতে শুরু করে এবং টাকা ও মোবাইল ফোন চাইতে থাকে।
মহিলা ছেলেটিকে ভয় দেখাতে ও চাপ সৃষ্টি করতে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এভাবেই তিনি নাবালকটিকে মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন এবং নিজের ইচ্ছামতো নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। পুলিশ জানিয়েছে যে এই ঘটনা ব্ল্যাকমেলের একটি স্পষ্ট উদাহরণ।
পরিবারের অভিযোগেই নাবালকের ঘটনা প্রকাশিত
নির্যাতিত ছেলেটির মা জুলাই মাসে পুলিশ সুপারকে একটি অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তিনি জানান যে মহিলা তার ছেলেকে কেবল যৌন নির্যাতনই করেননি, বরং তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিয়েছিলেন এবং ১০ হাজার টাকার একটি মোবাইলও নিয়েছিলেন। মহিলা ক্রমাগত ছেলেটির উপর চাপ দিচ্ছিলেন, কিন্তু ছেলেটি অস্বীকার করে, যার পর মহিলা মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার গভীর তদন্ত শুরু করে। পরিবারের সতর্কতা এই জঘন্য ব্ল্যাকমেল ফাঁস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন যে এই ধরনের ঘটনায় পরিবারের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।
পুলিশের তদন্ত ও মহিলার গ্রেপ্তার
নাল থানায় দায়ের করা মিথ্যা ধর্ষণের মামলার তদন্ত চলাকালীন মহিলার অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। ন্যাপাসার পুলিশ গভীর তদন্তের পর অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেপ্তার করে। মহিলাকে পকসো আদালতে পেশ করা হয় এবং তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে যে এই তদন্তে কনস্টেবল মায়া, খিমিয়া, কনস্টেবল প্রদীপ এবং বিনোদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তাদের সতর্কতা এবং কার্যকর তদন্তের কারণেই মহিলার আসল চেহারা সামনে আনা সম্ভব হয়েছে এবং নাবালকটিকে ন্যায়বিচার দেওয়া হয়েছে।