বিহার: সীমান্ত অঞ্চলে AIMIM-এর কৌশল, ইন্ডি জোটের জন্য বাড়তি উদ্বেগ

বিহার: সীমান্ত অঞ্চলে AIMIM-এর কৌশল, ইন্ডি জোটের জন্য বাড়তি উদ্বেগ

AIMIM সীমান্ত অঞ্চলে তাদের কৌশল জোরদার করেছে। দল আমুর এবং বাইসি বিধানসভা আসনগুলিতে সক্রিয় রয়েছে। ইন্ডি জোটে যোগদানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর AIMIM এককভাবে নির্বাচন লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিহার রাজনীতি: ২০২৫ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে। এর মধ্যেই AIMIM-এর সক্রিয়তা I.N.D.I.A জোটের জন্য উদ্বেগ বাড়িয়েছে। ২০২০ সালে আমুর এবং বাইসি বিধানসভা আসনে জয়লাভ করার পর AIMIM আবারও এই মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলিতে মনোযোগ দিয়েছে।

AIMIM ইন্ডি জোটে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর দলটি এককভাবে নির্বাচন লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে এনডিএ-র লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে পারে।

সীমান্ত অঞ্চলে AIMIM-এর কৌশল

AIMIM প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসির সীমান্ত অঞ্চলে আগমন রাজনৈতিক অস্থিরতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দলটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটযুক্ত অঞ্চলগুলিতে তাদের দখল মজবুত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

২০২০ সালের নির্বাচনে আমুরে কংগ্রেস তৃতীয় স্থানে ছিল, অন্যদিকে বাইসিতে আরজেডি-র চেয়ে বিজেপি বেশি ভোট পেয়েছিল। এটি ইঙ্গিত দেয় যে AIMIM সীমান্ত অঞ্চলে মহাজোট এবং এনডিএ উভয়কেই চ্যালেঞ্জ করেছিল।

আমুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিশ্লেষণ

গত নির্বাচনে আমুর বিধানসভা আসনে কংগ্রেসের জলিল মাস্তান মাত্র ৩১,৮৬৩ ভোট পেয়েছিলেন। জেডিইউ-এর সাবা জাফর দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। অন্যদিকে, AIMIM-এর রাজ্য সভাপতি আখতারুল ইমান অপ্রত্যাশিতভাবে ৯৪,৪৫৯ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছিলেন।

আখতারুল ইমান এখনও AIMIM-এর রাজ্য সভাপতি এবং তাঁর নির্বাচন লড়া নিশ্চিত। দলের এই কৌশল আমুরে তাদের প্রভাব বাড়ানোর দিকে কাজ করছে।

বাইসি বিধানসভা কেন্দ্রে AIMIM-এর ভূমিকা

বাইসি বিধানসভা কেন্দ্রে AIMIM আরজেডি-র প্রত্যাশাকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। তৎকালীন বিদায়ী বিধায়ক হাজী আব্দুস সুবহান তৃতীয় স্থানে ছিলেন। AIMIM সৈয়দ রুকনুদ্দিনকে প্রার্থী করেছিল এবং তিনি ৬৮,৪১৬ ভোট পেয়েছিলেন। বিজেপির বিনোদ যাদব দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন এবং তিনি ৫২,০৪৩ ভোট পেয়েছিলেন।

সৈয়দ রুকনুদ্দিন পরে আরজেডি-তে যোগ দেন, কিন্তু AIMIM এখন এই আসনে বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে চাইছে।

ইন্ডি জোটে যোগদানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ

সম্প্রতি AIMIM ইন্ডি জোটে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেছিল। সীমান্ত অঞ্চলের ২৪টি আসনের মধ্যে ছয়টি আসন দাবিও করা হয়েছিল। আরজেডি এই দাবি সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করে।

এই পরিস্থিতিতে AIMIM এককভাবে নির্বাচন লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এখন আমুর ও বাইসি বিধানসভা কেন্দ্রের উপর বিশেষ নজর রেখেছে। এই পদক্ষেপ I.N.D.I.A জোটের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

এনডিএ-র প্রস্তুতি এবং কৌশল

এনডিএ-র জন্য আমুর এবং বাইসি বিধানসভা কেন্দ্রগুলি প্রায় অভেদ্য বলে বিবেচিত হয়। AIMIM সক্রিয় হওয়ার পর এনডিএ তাদের কৌশল আরও জোরদার করেছে। দল এই আসনগুলিতে প্রভাব বাড়ানোর জন্য তৃণমূল স্তরে প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এনডিএ এবং AIMIM-এর মধ্যে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা এই অঞ্চলগুলিতে রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও উত্তপ্ত করতে পারে। এর ফলে ইন্ডি জোটের জন্য চ্যালেঞ্জ আরও বাড়তে পারে।

Leave a comment