শুক্রবার সকালে প্রতিবেশীরা লক্ষ্য করেন, বন্ধ বাড়ি থেকে কোনো সাড়া আসছে না। দরজায় কড়া নাড়ার পরও সাড়া না পাওয়ায় জানালা দিয়ে ভিতরে চোখ রাখলে দেখা যায় মা ও ছেলের রক্তাক্ত মৃতদেহ। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে দু’জনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, জ্যোতির্ময় মানসিকভাবে চাপের মধ্যে ছিলেন।
পারিপার্শ্বিক তথ্য
মৃত বানি রায়কে স্থানীয়রা শান্ত ও সরল মহিলা হিসেবে চিনতেন। জ্যোতির্ময় কাঠের কাজ করতেন এবং ধার-দেনার বোঝা সামলাতে না পেরে মানসিক চাপ অনুভব করছিলেন। গ্রামীণ জীবনের আর্থিক অস্থিরতা এমন করুণ পরিণতির সম্ভাবনা বাড়ায়।
পুলিশ ও ময়নাতদন্তের পদক্ষেপ
পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশের পর জানা যাবে এটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনো অপরাধ। থানার পুলিশ প্রমাণ সংগ্রহ করছে এবং প্রতিবেশী ও পরিবারের কাছ থেকে তথ্য নেয়া হচ্ছে।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট
ধার-দেনা, বেকারত্ব ও আর্থিক চাপ গ্রামীণ এলাকায় পরিবারকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। মনোবিজ্ঞানীরা জানান, মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা ও আর্থিক নিরাপত্তার অভাব এমন চরম পদক্ষেপের কারণ হতে পারে।
সাঁইথিয়ার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে শুক্রবার সকালে বন্ধ বাড়ি থেকে মা বানি রায় ও ছেলে জ্যোতির্ময় রায়ের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী অর্থনৈতিক চাপ ও মানসিক অবসাদ এই মর্মান্তিক ঘটনার পেছনে থাকতে পারে। পুলিশ ময়নাতদন্ত ও তদন্ত চালাচ্ছে, আত্মহত্যা নাকি অপরাধ—এখনো নিশ্চিত নয়।