বিজেপি ৪ রাজ্যে উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা: বাবুলাল সোরেন-সহ একাধিক নতুন মুখ

বিজেপি ৪ রাজ্যে উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা: বাবুলাল সোরেন-সহ একাধিক নতুন মুখ
সর্বশেষ আপডেট: 6 ঘণ্টা আগে

বিজেপি চার রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। ঝাড়খণ্ড থেকে বাবুলাল সোরেন, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে আগা সৈয়দ মহসিন এবং দেবিয়ানী রানা, ওড়িশা থেকে জয় ঢোলকিয়া এবং তেলেঙ্গানা থেকে লঙ্কালা দীপক নির্বাচিত হয়েছেন।

নয়াদিল্লি: ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) চার রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলা (এসটি) নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনের পুত্র, বাবুলাল সোরেনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। বাবুলাল এর আগেও বিজেপির টিকিটে বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন, কিন্তু তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। এবার তাকে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মাঠে নামানো হয়েছে, যা দলের কৌশল এবং পরিবারের রাজনৈতিক ঐতিহ্যের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে।

জম্মু ও কাশ্মীর-এ বিজেপির প্রার্থী

জম্মু ও কাশ্মীর-এ বুদগাম (নির্বাচনী এলাকা ২৭) আসন থেকে আগা সৈয়দ মহসিনকে বিজেপি প্রার্থী করেছে। অন্যদিকে, নগরোটা (নির্বাচনী এলাকা ৭৭) থেকে দেবিয়ানী রানাকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। উভয় নেতাই শীঘ্রই তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। দল এই নামগুলি বেছে নিয়ে উপনির্বাচনে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করার চেষ্টা করছে।

ওড়িশা এবং তেলেঙ্গানার প্রার্থী

ওড়িশার নुआপাড়া (নির্বাচনী এলাকা ৭১) উপনির্বাচনের জন্য জয় ঢোলকিয়াকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মাঠে নামিয়েছে। অন্যদিকে, তেলেঙ্গানায় লঙ্কালা দীপক রেড্ডিকে জুবিলি হিলস (নির্বাচনী এলাকা ৬১) থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। এই নির্বাচনী এলাকাগুলি তাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্বের কারণে বিজেপির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।

চার রাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলা এই উপনির্বাচনগুলি দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই আসনগুলিতে জয়লাভ করা বিজেপিকে বিধানসভায় তাদের অবস্থান শক্তিশালী করার সুযোগ দেবে। ঝাড়খণ্ডে বাবুলাল সোরেনের টিকিট বিশেষভাবে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে, কারণ এটি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনের পরিবারের রাজনৈতিক ঐতিহ্যকে বজায় রাখছে।

পূর্ববর্তী নির্বাচনের অভিজ্ঞতা

বাবুলাল সোরেন গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, কিন্তু তিনি পরাজিত হন। এবার দল তাকে উপনির্বাচনে সুযোগ দিয়েছে, যাতে তার অভিজ্ঞতা এবং জনসমর্থনের সদ্ব্যবহার করা যায়। বিজেপি অন্যান্য রাজ্যেও তাদের শক্তিশালী নেতাদের মাঠে নামিয়েছে, যাতে দল সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জন করতে পারে।

Leave a comment