ভারতকে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ (UNHRC)-এ 2026-28 মেয়াদের জন্য সপ্তমবারের মতো নির্বাচিত করা হয়েছে। ভারতের অগ্রাধিকারগুলি হবে মানবাধিকার রক্ষা, মৌলিক স্বাধীনতা, নারী ও শিশু অধিকারের প্রচার।
নিউ দিল্লি: ভারতকে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ (UNHRC)-এর 2026-28 মেয়াদের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এটি ভারতের সপ্তম মেয়াদ, যা মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি তার অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে। ইউএনএইচআরসি মঙ্গলবার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছে, যা ভারতের ধারাবাহিক সমর্থন এবং বৈশ্বিক স্বীকৃতির প্রমাণ।
মেয়াদের শুরু
ভারতের তিন বছরের মেয়াদ 2026 সালের 1 জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পার্বাথানেনি হারিশ বলেছেন যে এই নির্বাচন কেবল সম্মানের প্রতীক নয়, বরং বৈশ্বিক মঞ্চে ভারতের অঙ্গীকারের প্রমাণও বটে। তিনি সকল প্রতিনিধিদলকে তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং মানবাধিকারের প্রতি ভারতের অটল ভূমিকাকে তুলে ধরেছেন।
জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের কাঠামো
ইউএনএইচআরসি-তে মোট 47টি সদস্য দেশ অন্তর্ভুক্ত। এই দেশগুলিকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ দ্বারা তিন বছরের মেয়াদের জন্য সমান ভৌগোলিক বন্টন নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচিত করা হয়। পরিষদের প্রধান উদ্দেশ্য হলো মানবাধিকার রক্ষা, সেগুলির পালন নিরীক্ষণ (monitoring) এবং সংরক্ষণ। ভারত ধারাবাহিকভাবে একটি সক্রিয় সদস্য দেশ হিসেবে তার ভূমিকা বজায় রেখেছে।
ইউএনএইচআরসি-তে ভারতের ইতিহাস
2006 সালে পরিষদ গঠনের পর থেকে ভারত এর সদস্য। প্রথম নির্বাচনে ভারত 190টি ভোটের মধ্যে 173টি ভোট পেয়েছিল, যা ছিল সর্বোচ্চ। এরপর ভারত 2006-2007, 2008-2010, 2012-2014, 2015-2017, 2019-2021 এবং 2022-2024 সালেও সদস্য ছিল। কেবল 2011, 2018 এবং 2025 সালে ভারত পরিষদের সদস্য ছিল না। এইভাবে সপ্তম মেয়াদ ভারতের জন্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
অন্যান্য নির্বাচিত সদস্য দেশ
ইউএনএইচআরসি 2026 সালের 1 জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মেয়াদের জন্য অন্যান্য সদস্য দেশগুলির একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাঙ্গোলা, চিলি, ইকুয়েডর, মিশর, এস্তোনিয়া, ইরাক, ইতালি, মরিশাস, পাকিস্তান, স্লোভেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রিটেন এবং ভিয়েতনাম। এই দেশগুলি বৈশ্বিক মানবাধিকার ইস্যুতে ভারতের সহযোগী হয়ে পরিষদে কাজ করবে।
ভারতের অগ্রাধিকারসমূহ
ভারত পরিষদে তার অগ্রাধিকারসমূহের মধ্যে মানবাধিকার সংরক্ষণ, উন্নয়নশীল দেশগুলির অধিকার সমর্থন এবং মৌলিক স্বাধীনতাকে উৎসাহিত করাকে অন্তর্ভুক্ত করবে। নারী অধিকার, শিশু অধিকার এবং ডিজিটাল বিশ্বে সুরক্ষাকেও ভারত অগ্রাধিকার দেবে। এভাবে ভারত পরিষদে বৈশ্বিক ইস্যুতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে।