স্মার্টফোনের নীল আলোয় ত্বকের বার্ধক্য: প্রতিরোধে রইল উপায়

স্মার্টফোনের নীল আলোয় ত্বকের বার্ধক্য: প্রতিরোধে রইল উপায়

একটি গবেষণায় জানা গেছে যে স্মার্টফোন এবং গ্যাজেট থেকে নির্গত নীল আলো ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এই আলো ত্বকের কোষগুলিকে দুর্বল করে ধ্বংস করে দেয়, যার ফলে সময়ের আগেই বার্ধক্যের লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এটি থেকে বাঁচতে ত্বকের যত্ন এবং সঠিক পুষ্টি অত্যন্ত জরুরি।

নীল আলো থেকে ত্বকের ক্ষতি: সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে স্মার্টফোন এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইসের স্ক্রিন থেকে নির্গত নীল আলো ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক প্রমাণিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে দীর্ঘ সময় ধরে এর সংস্পর্শে থাকলে ত্বকের কোষগুলি সঙ্কুচিত হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে ধ্বংস হতে থাকে। ফলস্বরূপ, ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায় এবং মুখ সময়ের আগেই বয়স্ক দেখাতে শুরু করে। এছাড়া ট্যানিং, মেচেতা এবং হাইপারপিগমেন্টেশনের মতো সমস্যাও দ্রুত বাড়তে পারে।

ত্বকের কোষগুলিতে সরাসরি প্রভাব ফেলে নীল আলো

গবেষণায় দেখা গেছে যে গ্যাজেট থেকে নির্গত নীল আলো ত্বকের কোষগুলির গঠন পরিবর্তন করে দেয়। দীর্ঘ সময় ধরে এর সংস্পর্শে থাকলে কোষগুলি সঙ্কুচিত হতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যায়। এ কারণেই ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা কমতে শুরু করে এবং মুখ বয়স্ক দেখাতে লাগে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই আলো ত্বকের গভীর পর্যন্ত প্রবেশ করে। এর ফলে ট্যানিং, মেচেতা, হাইপারপিগমেন্টেশন এবং ত্বকের প্রদাহের মতো সমস্যাগুলি দ্রুত বাড়তে পারে। অর্থাৎ, স্ক্রিনের সামনে যত বেশি সময় কাটানো হবে, ত্বকের উপর তার প্রভাব তত বেশি গভীর এবং ক্ষতিকর হবে।

কীভাবে নীল আলো থেকে বাঁচবেন

ত্বককে এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচানোর জন্য প্রথম উপায় হলো স্মার্টফোন এবং স্ক্রিনযুক্ত ডিভাইসের ব্যবহার কমানো। তবে, যাদের কাজের প্রয়োজনে দীর্ঘ সময় ধরে স্ক্রিনের সামনে বসতে হয়, তাদের কিছু অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

ডার্মাটোলজিস্টরা পরামর্শ দিয়েছেন যে এই ধরনের লোকেরা ভিটামিন C এবং ভিটামিন E গ্রহণ করুন, কারণ এগুলি ত্বককে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, অ্যান্টি-ব্লু লাইট যুক্ত স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট এবং সানস্ক্রিনের ব্যবহারও জরুরি। এটি ত্বকের উপর নীল আলোর প্রভাব অনেকটাই কমাতে পারে।

Leave a comment