বক্সারে গঙ্গা সেতু থেকে গাড়ি নদীতে পতন: দুজনের মৃত্যু

বক্সারে গঙ্গা সেতু থেকে গাড়ি নদীতে পতন: দুজনের মৃত্যু

বিহারের বক্সার জেলার পুরোনো গঙ্গা সেতুতে শুক্রবার রাতে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে যা সমগ্র এলাকাকে কাঁপিয়ে তুলেছে। একটি উচ্চবেগে চলমান স্কর্পিও SUV সেতুর রেলিং ভেঙে সরাসরি গঙ্গা নদীতে পড়ে যায়।

পাটনা: বিহারের বক্সার জেলায় শুক্রবার রাতে ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় সমগ্র এলাকা কেঁপে উঠেছে। জেলার পুরোনো গঙ্গা সেতুতে উচ্চবেগে চলমান একটি স্কর্পিও রেলিং ভেঙে গঙ্গা নদীতে পড়ে যায়। এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, আর গাড়িতে থাকা অন্যান্যদের খোঁজা এখনও চলছে।

রাত ৮:৩০টায় দুর্ঘটনা, স্থানে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক

ঘটনাটি শুক্রবার রাত প্রায় ৮:৩০টার সময় ঘটে বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, স্কর্পিওটি হঠাৎ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং সেতুর শক্ত রেলিং ভেঙে সরাসরি নদীতে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ও ডুবুরি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।

নগর থানার অধ্যক্ষ মনোজ কুমার সিংহ জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর রাত প্রায় ১টার সময় অর্জুন ওরফে ঝামু সিংহের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়, আর শনিবার হর্ষ কুমারের মৃতদেহ এবং স্কর্পিওটি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। দুই মৃতের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

এয়ারব্যাগ ছিল খোলা, উচ্চবেগ ও অসাবধানতার আশঙ্কা

গাড়িটি পরীক্ষা করে দেখা গেছে স্কর্পিওর দুটি এয়ারব্যাগই খোলা ছিল, যা থেকে বোঝা যায় ধাক্কাটি ছিল অত্যন্ত জোরালো। পুলিশের ধারণা, গাড়ির গতিবেগ অনেক বেশি ছিল এবং সম্ভবত চালকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাওয়ার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় সেতুর রেলিংয়ের একটি বড় অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা দুর্ঘটনার ভয়াবহতা প্রকাশ করে।

স্কর্পিওতে কতজন ছিলেন, তার কোনো নিশ্চিত তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। কিন্তু পুলিশের ধারণা, গাড়িতে চার থেকে পাঁচজন থাকতে পারে। মৃতদের পরিচয় জানার সাথে সাথেই তাদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। অর্জুন ও হর্ষের আত্মীয়-স্বজন ঘটনাস্থলে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। দুর্ঘটনার খবরে গ্রাম ও আশপাশের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

পুলিশ ও প্রশাসনের উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। SDRF দলকেও ডাকা হয়েছে যারা গঙ্গা নদীতে সম্ভাব্য নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজে বেরোচ্ছে। প্রশাসন জানিয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত সমস্ত সম্ভাব্য যাত্রীদের অবস্থা স্পষ্ট না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত অনুসন্ধান বন্ধ করা হবে না।

Leave a comment