ব্রাত্য বসু জানতেনই না ওয়েবকুপা কমিটি ভাঙার সিদ্ধান্ত, তৃণমূলে নতুন অন্দরের চাপানউতোর

ব্রাত্য বসু জানতেনই না ওয়েবকুপা কমিটি ভাঙার সিদ্ধান্ত, তৃণমূলে নতুন অন্দরের চাপানউতোর

রাজনীতি: পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ফের অন্দরের দ্বন্দ্বের ছবি সামনে এল। ওয়েবকুপা কমিটি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, কিন্তু এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না সভাপতি ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁকে জানানো হয়নি। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, পুজোর পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুধু শাসকদল নয়, বিরোধী শিবিরেও জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে।

ওয়েবকুপা কমিটি ভাঙার সিদ্ধান্তে বিস্ময়

তৃণমূল কংগ্রেসের ওয়েবকুপা কমিটি হঠাৎ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, এ নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব নীরব থাকলেও সভাপতি ব্রাত্য বসু কিছুই জানতেন না। ফলে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে, দলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া ঠিক কোন পথে চলছে।

ব্রাত্য বসুর প্রতিক্রিয়া

শিক্ষামন্ত্রী ও সভাপতি ব্রাত্য বসু সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তাঁকে কোনোভাবে জানানো হয়নি যে কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, “পুজোর পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করব।” তাঁর এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনা আরও বেড়েছে যে দলের ভেতরে হয়তো যোগাযোগে বড়সড় ফাঁক তৈরি হয়েছে।

বিরোধীদের তোপ

ঘটনাটি সামনে আসতেই বিরোধী দলগুলি সরব হয়েছে। বিজেপি ও বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের ভেতরে গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া নেই, সবকিছুই ‘শীর্ষস্তরে’ নির্ধারিত হয়। বিরোধীরা দাবি করেছে, এই ঘটনা প্রমাণ করছে যে দলে অন্দরের দ্বন্দ্ব ভয়াবহ আকার নিয়েছে।

তৃণমূলের নীরবতা

যদিও শাসকদলের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিষয়টি নিয়ে দলের অন্দরে চাপানউতোর চলছে এবং তা প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না তৃণমূল। এদিকে সাধারণ কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

ওয়েবকুপা কমিটি ভেঙেছে তৃণমূল কংগ্রেস, অথচ বিষয়টি জানেনই না সভাপতি ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, পুজোর পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। ঘটনায় শাসকদলের ভেতরের টানাপোড়েন ফের প্রকাশ্যে আসায় রাজনৈতিক মহলে তুমুল জল্পনা শুরু হয়েছে।

Leave a comment