ব্রিটেনের রিপোর্টে ভারতকে খালিস্তানপন্থী কার্যকলাপের সূত্রে 'দমনমূলক দেশ' হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কমিটি মানবাধিকারের ঝুঁকির বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের কাছে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে।
Britain Report: ব্রিটেনের পার্লামেন্টের একটি বহুপাক্ষিক কমিটি সম্প্রতি 'Transnational Repression in the UK' শীর্ষক একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, বেশ কয়েকটি বিদেশি সরকার ব্রিটেনে বসবাসকারী মানুষদের ভয় দেখাচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে এবং তাদের মতামতকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। কমিটি এই কার্যকলাপগুলিকে মানবাধিকারের জন্য গুরুতর হুমকি হিসাবে বর্ণনা করেছে এবং ব্রিটিশ সরকারের কাছে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
ভারত সহ ১২টি দেশকে 'দমনমূলক' বলা হয়েছে
এই রিপোর্টে ভারতকে ১২টি দেশের তালিকায় রাখা হয়েছে, যাদের ব্রিটেনে দমনমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকার কথা বলা হয়েছে। এই তালিকায় ভারত ছাড়াও চীন, পাকিস্তান, ইরান, মিশর, রাশিয়া, বাহরাইন, ইউএই, সৌদি আরব, তুরস্ক, রুয়ান্ডা এবং ইরিত্রিয়া রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই দেশগুলির সরকার বা তাদের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলি ব্রিটেনের মাটিতে তাদের বিরোধীদের চুপ করানোর চেষ্টা করছে।
শিখ ফর জাস্টিস-এর উল্লেখ
ভারতের ক্ষেত্রে রিপোর্টে বিশেষভাবে 'শিখ ফর জাস্টিস' (SFJ)-এর উল্লেখ করা হয়েছে। এটি একটি খালিস্তানপন্থী সংগঠন, যা ভারতে UAPA (বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন)-এর অধীনে নিষিদ্ধ। রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ভারতের এজেন্সিগুলি এই ধরনের সংগঠনের সমর্থকদের ব্রিটেনে নিশানা করছে। যদিও, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এই রিপোর্টের ওপর এখনও পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
রিপোর্টের প্রমাণ এবং কমিটির ভূমিকা
এই রিপোর্টটি ব্রিটেনের সংসদীয় মানবাধিকার কমিটি দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে সমস্ত প্রধান রাজনৈতিক দলের সাংসদরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। কমিটি তাদের দাবিকে প্রমাণ করার জন্য কিছু প্রমাণও পেশ করেছে। তাদের বক্তব্য, তারা নির্ভরযোগ্য তথ্য পেয়েছেন, যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে বেশ কয়েকটি বিদেশি সরকার ব্রিটেনে বসবাসকারী তাদের নাগরিক বা প্রাক্তন নাগরিকদের হুমকি দিচ্ছে।
কথা বলা ও ঘোরার স্বাধীনতায় প্রভাব
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এই দমনমূলক কার্যকলাপের প্রভাব শুধুমাত্র নিরাপত্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এর ফলে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং ঘোরাফেরার স্বাধীনতাও প্রভাবিত হচ্ছে। ব্রিটেনে বসবাসকারী এই দেশগুলির নাগরিক বা শরণার্থীরা এখন खुलकर কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই কারণে ব্রিটেনে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ভিত দুর্বল হয়ে পড়ছে।
MI5-এর রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য
ব্রিটেনের গোয়েন্দা সংস্থা MI5-এর উদ্ধৃতি দিয়ে রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, 2022 সালের পর থেকে এই ধরনের কার্যকলাপে 48 শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। এর মানে হল, বিদেশের পক্ষ থেকে ব্রিটেনে হস্তক্ষেপ এবং চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, কিছু দেশ ইন্টারপোলের সিস্টেমের অপব্যবহার করছে, যার ফলে তাদের বিরোধীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যায়।
ইন্টারপোলের অপব্যবহারের অভিযোগ
রিপোর্টে বিশেষভাবে চীন, রাশিয়া ও তুরস্কের নাম ইন্টারপোলের অপব্যবহারের সূত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও, ভারতের বিরুদ্ধেও এই প্রকার অভিযোগ করা হয়েছে যে, তারা ইন্টারপোল নোটিশ ব্যবহার করে उन लोगों के खिलाफ करता है जो उसकी नीतियों के विरोध में हैं और विदेशों में रह रहे हैं। समिति का कहना है कि यह एक আন্তর্জাতিক উদ্বেগের বিষয়।
ব্রিটিশ সরকারের কাছে কঠোর পদক্ষেপের দাবি
রিপোর্টের শেষে কমিটি ব্রিটিশ সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে যে, তারা যেন এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়। বিশেষভাবে उन देशों के खिलाफ जो ब्रिटेन में रह रहे लोगों के मानवाधिकारों का उल्लंघन कर रहे हैं। কমিটি চায় যে, এই দেশগুলির কার্যকলাপের ওপর নজর রাখা হোক, এবং যে ব্যক্তি বা संस्था इसमें शामिल हो, उनके खिलाफ कानूनी कार्रवाई की जाए।