Calcutta High Court: কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনায় ‘খোলা হাওয়া’ নামের সংগঠন মিছিলের অনুমতি চেয়েছিল। রবিবার বিকেল ২টো থেকে ৫টা পর্যন্ত রেড রোডে মিছিলের পরিকল্পনা করা হলেও একই দিনে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল থাকায় পুলিশ আপত্তি জানায়। এদিন শুনানিতে বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে মিছিলে অনুমতি দেয়। তবে মামলার শুনানিতে রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন—শুভেন্দু অধিকারী থাকলেই অশান্তি তৈরি হয়।
মিছিল বনাম কার্নিভাল বিতর্ক
রবিবার রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল হওয়ার কথা। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন থাকবে। একই দিনে মিছিল করতে চাওয়া নিয়ে রাজ্য সরকার আপত্তি জানায়। পুলিশ আদালতে জানায়, প্রায় ৫ হাজার মানুষ অংশ নেবে মিছিলে, তাই নিরাপত্তা জটিল হতে পারে।
বিচারপতির পর্যবেক্ষণ
বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরী বলেন, দুর্ঘটনা বহুদিন আগের নয়, তাই সংগঠনটি রবিবার মিছিল করতে চাইছে। যেহেতু কার্নিভালের জন্য পুলিশ থাকবে, তাই একই দিনে সীমিত সময়ের মধ্যে মিছিল করা সম্ভব। অবশেষে দুপুর ২টো থেকে ৫টা পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি মেলে।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ
শুনানিতে রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই সংগঠন রাজনৈতিকভাবে বিজেপির ঘনিষ্ঠ। শুভেন্দু যেখানে থাকেন, সেখানেই অশান্তি সৃষ্টি হয়। নবান্ন অভিযানে শুভেন্দু ও শঙ্খু সবচেয়ে বড় গোলমাল পাকিয়েছিলেন।’’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, কার্নিভালের দিনেই কেন মিছিল করতে হবে, অন্যদিন করা যেত না কি?
মৃতদের পরিবারের দাবি
সংগঠনের তরফে জানানো হয়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল করা জরুরি। গতবছর চিকিৎসকদের মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কার্নিভালের দিনেই, তাই এবারও অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
আদালতের সিদ্ধান্ত
আদালত শেষ পর্যন্ত অনুমতি দেয় তবে শর্তসাপেক্ষে। নির্দেশ দেওয়া হয়, রবিবার দুপুর ২টো থেকে ৫টা পর্যন্ত মিছিল করা যাবে। পুলিশকে নজরদারি রাখতে হবে যাতে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা না হয়।
কলকাতা হাইকোর্টে তড়িতদাহে মৃতদের নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলের অনুমতি চাইলে বিতর্ক দানা বাঁধে। ওই দিনেই দুর্গাপুজোর কার্নিভাল থাকায় পুলিশ আপত্তি জানায়। অবশেষে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেয় আদালত। শুনানিতে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, শুভেন্দু যেখানেই থাকেন সেখানেই অশান্তি ছড়ায়।