Calcutta High Court Case: উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী শহর টাকিতে ইছামতীর পাড় জুড়ে একের পর এক হোটেল ও রিসর্ট বেআইনিভাবে গড়ে ওঠার অভিযোগে এবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। আবেদনকারীর আইনজীবী দিগন্ত বস জানান, সেচ দফতরের জমি দখল করে নির্মাণ চলছে। ইতিমধ্যেই পরিবেশ দফতর, সেচ দফতর ও টাকি পৌরসভায় অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে মামলাটির শুনানি হতে পারে।
ইছামতীর পাড়ে বেআইনি হোটেল নির্মাণের অভিযোগ
টাকি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে বহুল পরিচিত। ইছামতীর পাড়ে পর্যটকদের জন্য হোটেল ব্যবসা বাড়লেও, অভিযোগ উঠেছে বহু নির্মাণই বেআইনি। পরিবেশবিদরা জানান, সেচ দফতরের জমি দখল করে বিলাসবহুল হোটেল ও রিসর্ট তৈরি হচ্ছে। এতে শুধু পরিবেশের ক্ষতি নয়, নদী তীরের ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছে।
হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা
এক পরিবেশবিদের অভিযোগের ভিত্তিতেই কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। আবেদনকারীর আইনজীবী দিগন্ত বস জানান, টাকি পৌরসভা ও বসিরহাট মহকুমা শাসকের কাছে আগেই লিখিতভাবে অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না হওয়ায় শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হন আবেদনকারী।
রাজনৈতিক যোগসূত্রের অভিযোগ
অভিযোগে উঠে এসেছে, বেআইনি নির্মাণের সঙ্গে শাসক দলের এক নেতার নামও জড়িত। সেচ দফতরের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, একাধিক হোটেল অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে একটি হোটেলের মালিকানা রয়েছে তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক শাহানুর মণ্ডলের নামে। তিনি নাকি প্রভাব খাটিয়ে নির্মাণকাজ চালিয়েছেন।
শুনানির অপেক্ষায় মামলা
জনস্বার্থ মামলাটি বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি স্মিতা দাসের বেঞ্চে তোলা হয়েছে। সেপ্টেম্বরে এর শুনানি হতে পারে। আদালত যদি কড়া রায় দেয়, তবে টাকির হোটেল ব্যবসায় বড়সড় প্রভাব পড়তে পারে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া নজিরও স্থাপিত হতে পারে।
উত্তর ২৪ পরগনার টাকিতে ইছামতীর পাড়ে বেআইনি হোটেল-রিসর্ট নির্মাণের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সেচ দফতরের জমি দখল করে অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি স্মিতা দাসের বেঞ্চে সেপ্টেম্বরে মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।