১২ বছর পর ফিরছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি: ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য সুখবর!

১২ বছর পর ফিরছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টি: ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য সুখবর!

ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য বড় সুখবর! ১২ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টির প্রত্যাবর্তন প্রায় নিশ্চিত। ২০১৪ সালে বন্ধ হওয়া এই আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি আইসিসির সাম্প্রতিক বার্ষিক সভায় সবুজ সংকেত পেয়েছে।

স্পোর্টস নিউজ: Champions League T20 অর্থাৎ CLT20 টুর্নামেন্টটি আবারও ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে আলোচনার বিষয়। প্রায় ১২ বছর পর এই টুর্নামেন্টটি পুনরায় শুরু হতে চলেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC)-এর সাম্প্রতিক বার্ষিক সভায় এই বিষয়ে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের পর এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এখন এর পুনরায় আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছে।

CLT20-এর শুরু এবং ইতিহাস

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টির শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে। এই টুর্নামেন্টটি আইপিএলের এক বছর পর শুরু হয়েছিল এবং এর উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বের প্রধান টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর সেরা ক্লাবগুলোকে একটি মঞ্চে নিয়ে আসা। CLT20-এর মালিকানা ছিল বিসিসিআই (ভারত), ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার হাতে। এর কাঠামোটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে অনুপ্রাণিত ছিল, যেখানে বিভিন্ন দেশের ক্লাব দলগুলো একসঙ্গে প্রতিযোগিতা করে।

CLT20 विजेताओं की सूची (2009-2014)

  • ২০০৯ – নিউ সাউথ ওয়েলস ব্লু (অস্ট্রেলিয়া)
  • ২০১০ – চেন্নাই সুপার কিংস (ভারত)
  • ২০১১ – মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (ভারত)
  • ২০১২ – সিডনি সিক্সার্স (অস্ট্রেলিয়া)
  • ২০১৩ – মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (ভারত)
  • ২০১৪ – চেন্নাই সুপার কিংস (ভারত)

এই ছয়টি সংস্করণে আইপিএলের দলগুলোর আধিপত্য স্পষ্ট ছিল। মোট চারবার ভারতীয় দল বিজয়ী হয়েছে।

CLT20-এর ফরম্যাট কী ছিল?

CLT20-তে অংশ নেওয়া দলগুলো আলাদা আলাদা দেশের প্রধান টি-টোয়েন্টি লিগগুলো থেকে নির্বাচিত হত, যেমন:

  • ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (IPL) – ভারত
  • বিগ ব্যাশ লিগ (BBL) – অস্ট্রেলিয়া
  • র‍্যাম স্ল্যাম টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ – দক্ষিণ আফ্রিকা
  • ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (CPL) – ওয়েস্ট ইন্ডিজ
  • সুপার স্ম্যাশ – নিউজিল্যান্ড
  • শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ

২০১৪ সালের সংস্করণে মোট ১২টি দল ছিল, যাদের মধ্যে ৮টি সরাসরি প্রবেশ পেয়েছিল এবং বাকি ৪টিকে কোয়ালিফাইং রাউন্ডে খেলতে হয়েছিল। আইপিএলের ৩-৪টি দল সাধারণত সরাসরি প্রবেশ পেত।

CLT20 কেন বন্ধ করা হয়েছিল?

CLT20-কে ২০১৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এর পেছনের প্রধান কারণগুলো ছিল:

  • টিআরপি-তে পতন – দর্শকদের আগ্রহ ধীরে ধীরে কমে গিয়েছিল।
  • আর্থিক ক্ষতি – টুর্নামেন্টের মার্কেটিং এবং আয়োজন খরচ বেশি ছিল।
  • স্টার স্পোর্টসের সরে যাওয়া – প্রধান সম্প্রচারক স্টার স্পোর্টস ২০১৫ সালে এর সম্প্রচার থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
  • অতিরিক্ত ক্রিকেট – বছরের শেষে এই টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হত, যখন আগে থেকেই অনেক আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ম্যাচ থাকত।

বিসিসিআই, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা যৌথভাবে এটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।

পাকিস্তানের দলগুলো কেন খেলত না CLT20-তে?

২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। এর ফলে পাকিস্তানের দলগুলোকে CLT20-তে কখনই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। নিরাপত্তা কারণ এবং ভারতীয় দর্শকদের অনুভূতিকে ध्यान में रखते हुए यह निर्णय लिया गया था। ইংল্যান্ড शुरुआती তিনটি সংস্করণে (২০০৯, ২০১০, ২০১১) অংশগ্রহণ করেছিল, কিন্তু ২০১২ সালের পর वापस ले लिया।

কারণ ছিল যে CLT20-এর আয়োজন ইংল্যান্ডের ঘরোয়া মৌসুমের সঙ্গে टकराता था, जिससे उनके क्रिकेट बोर्ड को लॉजिस्टिक और प्लेयर अवेलेबिलिटी में दिक्कतें होती थीं।

CLT20-এর প্রত্যাবর্তন কেন হচ্ছে?

  • টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা এখন শীর্ষে।
  • সম্প্রচার স্বত্বে প্রচুর বৃদ্ধি হয়েছে।
  • ক্রিকেটের বিশ্ব অর্থনীতি বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
  • ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং ওটিটি-র প্রসার দর্শকদের সংখ্যাকে বিশ্বব্যাপী করে দিয়েছে।

২০২৫ সাল থেকে CLT20-এর পুনরায় আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নতুন মিডিয়া রাইটসের দরপত্র এই বছরের শেষের দিকে প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত নতুন ফরম্যাট ঘোষণা করা হয়নি, তবে আশা করা যায় যে: টুর্নামেন্টে ১২-১৬টি দলকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। শীর্ষ টি-টোয়েন্টি লিগগুলো থেকে ২-৩টি দলকে নির্বাচন করার সুযোগ দেওয়া হবে।

কোয়ালিফাইং রাউন্ড, গ্রুপ স্টেজ এবং প্লেঅফের ফরম্যাট থাকবে। আয়োজন ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতে রোটেশনাল ভিত্তিতে হতে পারে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-টোয়েন্টির পুনরায় শুরু হওয়া বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য একটি বড় খবর।

Leave a comment