Crime News: চেন্নাইয়ের কাছে তিরুভাল্লুর জেলায় হৃদয়বিদারক ঘটনা। সন্দেহের বশে স্ত্রী প্রিয়াকে খুন করে দেহ ড্রামের মধ্যে ভরে কবরস্থানের পাশে পুঁতে দেন স্বামী সিলামবরসন (৩৩)। ১৪ অগস্ট খুনের পর দীর্ঘ দুই মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন প্রিয়া (২৬)। সম্প্রতি পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেরায় তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই উদ্ধার হয় দেহ।

স্ত্রীর প্রতি সন্দেহই ঘটনার মূল কারণ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিলামবরসন দীর্ঘদিন ধরেই স্ত্রী প্রিয়ার ওপর সন্দেহ করতেন। তাঁর ধারণা ছিল, প্রিয়ার একাধিক সম্পর্ক রয়েছে। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে নিয়মিত ঝগড়া হত। শেষ পর্যন্ত ১৪ অগস্ট রাতে রাগের মাথায় স্ত্রীকে হত্যা করে নিজের বাড়ি থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে দেহটি ফেলে আসেন তিনি।
ড্রামে ভরে পুঁতে দেওয়া হয় দেহ
খুনের পর দেহ লুকিয়ে রাখতে সিলামবরসন একটি বড় ড্রাম ব্যবহার করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তিনি ড্রামের ভিতর প্রিয়ার দেহ রেখে তা কবরস্থানের পাশে মাটি খুঁড়ে পুঁতে দেন। পুলিশের জেরায় অভিযুক্ত নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে এবং তদন্তকারীদের সেই জায়গায় নিয়ে গিয়ে দেহ উদ্ধারে সাহায্য করেছে।

নিখোঁজ ডায়েরি থেকে প্রকাশ পায় ভয়াবহ সত্য
প্রিয়ার বাবা শ্রীনিবাসন জানান, মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার কয়েকদিন আগে তাঁদের কাছে এসেছিল এবং জানিয়েছিল যে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। তাঁরা মেয়েকে বুঝিয়ে ফেরত পাঠিয়েছিলেন। এরপর থেকে কোনও খোঁজ না পেয়ে দুই মাস পর তিনি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সন্তানরাও জানিয়েছিল, তারা দীর্ঘদিন মাকে দেখেনি।
দীর্ঘ তদন্তের পর গ্রেফতার স্বামী
পুলিশ জানায়, নিখোঁজ ডায়েরির ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ ও মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের সূত্রে পুলিশ জানতে পারে সিলামবরসনের গতিবিধিতে অস্বাভাবিকতা রয়েছে। পরে তাঁকে জেরা করলে পুরো সত্যি সামনে আসে। বর্তমানে ধৃতকে জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে।

তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের কাছে তিরুভাল্লুরে স্ত্রী হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য। স্ত্রীকে সন্দেহ করেই খুন করে দেহ ড্রামে ভরে কবরস্থানের পাশে পুঁতে দেন অভিযুক্ত স্বামী। দুই মাস পর পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে সত্য। ধৃত সিলামবরসন অপরাধের কথা স্বীকার করেছে।












