চেরি পপসিকল: গ্রীষ্মের মিষ্টি আনন্দ

চেরি পপসিকল: গ্রীষ্মের মিষ্টি আনন্দ

গরমকালে তীব্র রোদ আর বাড়তে থাকা গরমের মধ্যে চেরি পপসিকল খাওয়ার মজাই আলাদা। এর উজ্জ্বল লাল রং, মিষ্টি স্বাদ আর ঠান্ডা ভাব গ্রীষ্মকালকে আরও মনোরম করে তোলে। প্রতি বছর ২৬শে অগাস্ট পালিত হওয়া ন্যাশনাল চেরি পপসিকল ডে এই সুস্বাদু আর রঙিন ঠান্ডা ডেজার্ট উদযাপন করার দিন। এটা শুধু একটা ফ্রোজেন জুস নয়, বরং গ্রীষ্মকালে সতেজতা আর আনন্দের প্রতীক।

পপসিকল কী

পপসিকল একটি ব্র্যান্ডের নাম, যা প্রথম বাজারে আনা হয়েছিল। কিন্তু এটা এতটাই জনপ্রিয় হয়ে গেছে যে এখন এটা সব ধরনের জমানো জুস বা ফ্রুট-পপসের জন্য ব্যবহার করা হয়। সেটা যে ব্র্যান্ডেরই হোক না কেন, পপসিকল খেলে সবসময় সতেজতা আর মিষ্টিত্বের অনুভূতি হয়।

একটা মজার ব্যাপার হল পপসিকল নামের কপিরাইট আছে। তাই যদি আপনি এটা বাড়িতে বানিয়ে বিক্রি করতে চান, তাহলে এটাকে নিরাপদে আইস পপ বলতে পারেন। এই নামটা শুধু আইনি সুরক্ষা দেয় না, আপনার নতুন ব্যবসার আইডিয়ার জন্যও উপযুক্ত হবে।

চেরি পপসিকলের ইতিহাস

পপসিকলের আবিষ্কার কোনো বড় বিজ্ঞানী বা শেফ করেননি, বরং এর কৃতিত্ব একজন ১১ বছর বয়সী ছেলের। সে সোডা পাউডার আর জলের মিশ্রণ তার বারান্দায় রেখে ভুলে গিয়েছিল। পরের দিন যখন সে দেখল যে মিশ্রণটা জমে গেছে এবং তাতে একটা কাঠের স্টিকও আটকে আছে, তখন থেকেই পপসিকলের জন্ম।

প্রায় ১৮ বছর পর, সে এই জমাট বাঁধা স্বাদ নেপচুন বিচ, নিউ জার্সির একটা বিনোদন পার্কে নিয়ে আসে। লোকেদের এই নতুন অভিজ্ঞতা খুব ভালো লাগে এবং সে সঙ্গে সঙ্গে এর পেটেন্ট পায়। পপসিকলের নাম দেওয়ার সময় তার বাচ্চারা পরামর্শ দেয়, আর এইভাবেই এর নাম হয় "পপসিকল"। সে প্রথমে এর নাম “ফ্রোজেন কনফেকশনারি” বা “এপ্সিক্যাল আইস পপ” রাখতে চেয়েছিল।

চেরি পপসিকল: গ্রীষ্মের পরিচয়

চেরি পপসিকল শুধু লাল রং আর মিষ্টি স্বাদের জন্যই নয়, বরং এর ঠান্ডা ভাব আর জুস-ভরা সতেজতার জন্যও পরিচিত। এটা বাচ্চা আর বড়োদের সবার জন্য গ্রীষ্মকালের একটা আদর্শ মিষ্টি।

চেরি পপসিকল বানানোর পদ্ধতি

বাড়িতে পপসিকল বানানো খুবই সহজ। সবচেয়ে সহজ উপায় হল আপনি পপসিকল মোল্ড নিন, তাতে চেরি জুস বা কুল-এড ঢালুন আর জমাট বাঁধার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন। কিন্তু যদি আপনি একটু অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন তাহলে চেরি কোকোনাট পপসিকল চেষ্টা করতে পারেন।

চেরি লেয়ারের উপকরণ:

  • ১ পাউন্ড চেরি (বীজ সরানো)
  • ১ ½ কাপ জল
  • ½ কাপ চিনি
  • ২ চামচ লেবুর রস
  • কোকোনাট লেয়ারের উপকরণ:
  • ¾ কাপ নারকেল দুধ
  • ¾ কাপ দই
  • ⅓ কাপ চিনি

পদ্ধতি:

  1. প্রথমে চেরি লেয়ার তৈরি করুন। জল, চিনি, লেবু আর চেরি একটা সসপ্যানে নিয়ে ফোটান যতক্ষণ না চেরি নরম হয়ে যায়।
  2. এটাকে ব্লেন্ডারে দিয়ে স্মুথ করুন। যদি পাল্পি পপ পছন্দ হয় তাহলে সরাসরি ব্যবহার করুন।
  3. কোকোনাট লেয়ারের জন্য নারকেল দুধ, দই আর চিনি মিশিয়ে স্মুথ পেস্ট তৈরি করুন।
  4. এবার পপসিকল মোল্ডে একটির পর একটি লেয়ার দিন এবং প্রতিটা লেয়ারকে জমাট বাঁধতে দিন। শেষে স্টিক দিন এবং পুরোটা জমাট বাঁধতে দিন।
  5. এইভাবে আপনার ঘরে বানানো চেরি পপসিকল স্বাদ আর ঠান্ডায় বাজারের পপসিকলের থেকে কোনো অংশে কম হবে না।

পপসিকলের কিছু মজার তথ্য

  1. পপসিকলের আবিষ্কার একজন ১১ বছর বয়সী ছেলে করেছিল।
  2. পপসিকল নামের কপিরাইট আছে।
  3. চেরি পপসিকল অন্যান্য ফল আর উপকরণ মিশিয়েও বানানো যেতে পারে।
  4. ২০০০ সালে Jann Arden চেরি পপসিকলের ওপর একটা গানও রিলিজ করেছিলেন।

ন্যাশনাল চেরি পপসিকল ডের গুরুত্ব

এই দিনটা শুধু একটা মিষ্টির জন্য নয়, বরং গ্রীষ্মকালে সতেজতা আর আনন্দের জন্যও। চেরি পপসিকলের লাল ঝলক, মিষ্টি স্বাদ আর ঠান্ডা অনুভুতি গ্রীষ্মকালকে আরও বিশেষ করে তোলে। বাচ্চা আর বড়োদের জন্য এই দিনটা সমানভাবে আনন্দ আর উৎসাহের সুযোগ।

গ্রীষ্মের গরমকে হারাতে আর ঠান্ডা মিষ্টির অভিজ্ঞতা নিতে ন্যাশনাল চেরি পপসিকল ডে একটা দারুণ সুযোগ। আপনি এটা বাড়িতে বানান, কেনেন, বা ডিজিটাল গেমে আনন্দ নিন, এই দিনটা চেরি পপসিকলের ঝলক আর মিষ্টি স্বাদ সেলিব্রেট করার সঠিক সময়। পরের বার যখন আপনি এই লাল, ঠান্ডা আর মিষ্টি ডেজার্ট খাবেন, তখন মনে রাখবেন যে এর জন্ম একটা ছোট বাচ্চার innocennt ভুলে হয়েছিল আর আজ এটা পুরো বিশ্বে গ্রীষ্মের পরিচয় হয়ে উঠেছে।

Leave a comment