কোল্ড্রিফ কফ সিরাপ (Coldrif Cough Syrup) থেকে হওয়া মৃত্যুর পর তামিলনাড়ু সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এই কফ সিরাপ প্রস্তুতকারী শ্রীসন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এই কফ সিরাপ সেবনের ফলে মধ্যপ্রদেশে ২২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
চেন্নাই: মধ্যপ্রদেশে ২২ শিশুর মৃত্যুর পর কোল্ড্রিফ কফ সিরাপ নিয়ে তামিলনাড়ু সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। কফ সিরাপ প্রস্তুতকারী কোম্পানি শ্রীসন ফার্মাসিউটিক্যালের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। কোম্পানির মালিক রঙ্গনাথনকে গ্রেফতার করে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও রাজ্য সরকার দুজন প্রবীণ ড্রাগ ইন্সপেক্টরকে সাসপেন্ড করেছে।
এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে তামিলনাড়ু ড্রাগস কন্ট্রোল বিভাগ রাজ্যের অন্যান্য সমস্ত ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিরও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, যাতে কোনো প্রকারের গাফিলতি এবং ক্ষতিকারক ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করা যায়।
কোল্ড্রিফ কফ সিরাপ থেকে মৃত্যুর ঘটনা
মধ্যপ্রদেশে গত কয়েকদিনে ২২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে, যাদের সবাই কোল্ড্রিফ কফ সিরাপ সেবন করেছিল। এই ঘটনার পর স্বাস্থ্য বিভাগ অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং ঘটনার তদন্তের জন্য একটি SIT (Special Investigation Team) গঠন করে। তদন্তের প্রাথমিক ফলাফলে জানা গেছে যে কোল্ড্রিফ কফ সিরাপে অত্যাধিক পরিমাণে ডাইথিলিন গ্লাইকল (DEG) উপস্থিত ছিল। DEG একটি বিষাক্ত রাসায়নিক, যা শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক বলে বিবেচিত।
কোম্পানির মালিক রঙ্গনাথনকে ৯ অক্টোবর মধ্যপ্রদেশ SIT গ্রেফতার করেছিল। এরপর তামিলনাড়ু পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। আদালত তাকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। একই সাথে, রাজ্য সরকার দুজন প্রবীণ ড্রাগ ইন্সপেক্টরকে বরখাস্ত করেছে, যাদের কথিত গাফিলতির কারণে এই বিষয়টি গুরুতর রূপ ধারণ করেছিল। স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তামিলনাড়ু সরকারের কঠোর অবস্থান
তামিলনাড়ু সরকার স্পষ্ট করেছে যে শ্রীসন ফার্মাসিউটিক্যালের প্ল্যান্ট সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও, রাজ্যের অন্যান্য ওষুধ কোম্পানিগুলোরও তদন্ত করা হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে যে কোডিনযুক্ত বা অন্যান্য তফসিলি ওষুধ উৎপাদন করার সময় যেকোনো কোম্পানির জন্য কঠোর গুণমান পরীক্ষা এবং নজরদারি বাধ্যতামূলক হবে। এখন ওষুধের স্টক, উৎপাদন এবং বিক্রি সবই সরকারি তত্ত্বাবধানে থাকবে।