Chhath Puja Kolkata: পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে এ বছরও ছটপুজোর সময়ে বন্ধ রাখা হচ্ছে রবীন্দ্র ও সুভাষ সরোবর। দূষণ রোধে কেএমডিএ প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। কলকাতায় ২৩ অক্টোবরের এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দুই লেকে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। এর বদলে তৈরি করা হচ্ছে ৩৯টি অস্থায়ী ঘাট, যাতে ভক্তরা নির্বিঘ্নে পূজা সম্পন্ন করতে পারেন।

দূষণরোধে প্রশাসনের কড়া নজর
রবীন্দ্র ও সুভাষ সরোবরে গত কয়েক বছর ধরেই ছটপুজো নিষিদ্ধ। ২০২২ সালে কিছু মানুষ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লেকে প্রবেশ করেছিলেন, তাই এবার নজরদারি আরও জোরদার হচ্ছে। দুই সরোবরে মিলিয়ে ৩০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবে। দুই ডেপুটি কমিশনার স্তরের আধিকারিক তদারকি করবেন গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বিকল্পে ৩৯টি অস্থায়ী ঘাট তৈরি
সরোবর বন্ধ থাকায় ভক্তদের সুবিধার্থে শহরজুড়ে ৩৯টি বিকল্প ঘাট তৈরি করা হয়েছে। সুভাষ সরোবরের লাগোয়া এলাকায় ঘাট তৈরির দায়িত্ব নিয়েছে কলকাতা পুরসভা, আর রবীন্দ্র সরোবর সংলগ্ন এলাকায় ঘাটের ব্যবস্থা করেছে কেএমডিএ। প্রতিটি ঘাটেই থাকবে আলোর ব্যবস্থা, অস্থায়ী বায়ো–টয়লেট এবং পোশাক বদলের তাঁবু।

পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতায় কড়া নির্দেশ
ছটপুজো শেষে ৫ ঘণ্টার মধ্যে ঘাট সাফাইয়ের নির্দেশ দিয়েছে কেএমডিএ। পুরসভা ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহায়তায় হবে বর্জ্য অপসারণ, মেডিক্যাল ক্যাম্প ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা। ভক্তদের নিরাপত্তা ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বাজি ফাটানোয় সময়সীমা ও নিয়ম
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশে ছটপুজোর দিন সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত, অর্থাৎ মাত্র ২ ঘণ্টা বাজি ফাটানো যাবে। শুধুমাত্র সবুজ বাজি ব্যবহার করা যাবে। নিয়ম ভাঙলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে লালবাজার।

পরিবেশ রক্ষায় আশাবাদী কর্মীরা
পরিবেশকর্মী সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দুই সরোবরের পরিবেশ রক্ষায় এ পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, প্রশাসন এবারও আদালতের নির্দেশ মানতে সফল হবে।

ছটপুজোয় দূষণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর প্রশাসন। কলকাতার রবীন্দ্র ও সুভাষ সরোবর দুই-ই সাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে। কেএমডিএ ও পুরসভার উদ্যোগে শহর জুড়ে ৩৯টি অস্থায়ী ঘাট তৈরি হচ্ছে। দুই সরোবরে মোতায়েন থাকবে ৩০০ পুলিশকর্মী, নিশ্চিত করা হচ্ছে নিরাপত্তা ও পরিবেশ সুরক্ষা।












