মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মোহন যাদব ১৪ই আগস্ট ভোপালের বোট ক্লাবে ‘নৌকা তিরঙ্গা যাত্রা’-য় অংশ নিয়ে দেশপ্রেমের বার্তা দিয়েছেন। তিনি ‘ইয়ে দেশ হ্যায় বীর-জওয়ানো কা’ গেয়ে জনগণের মধ্যে উৎসাহ বাড়িয়েছেন এবং বিরোধীদের নিশানা করেছেন। পুকুরে উড়তে থাকা তেরঙ্গা দেখে তিনি জনকল্যাণ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে উন্নয়নের সংকল্পের কথা স্মরণ করিয়েছেন।
Bhopal: ১৪ই আগস্ট ২০২৫ তারিখে ভোপালের বোট ক্লাবে আয়োজিত ‘নৌকা তিরঙ্গা যাত্রা’-য় মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মোহন যাদব অংশ নেন এবং জনগণকে দেশপ্রেমের বার্তা দেন। তিনি পুকুরে উড়তে থাকা তেরঙ্গা দেখে বলেন যে এগুলো তাঁকে জনকল্যাণ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে রাজ্যের উন্নয়নের সংকল্পের প্রেরণা দিচ্ছে। এই সময় তিনি ‘ইয়ে দেশ হ্যায় বীর-জওয়ানো কা’ গেয়ে উৎসাহ বাড়ান এবং বিরোধীদের প্রতিও প্রশ্ন তোলেন, যেখানে বোট ক্লাব এবং মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন চত্বরে হাজার হাজার মানুষ হাতে তেরঙ্গা ধরে দেশপ্রেমের আবেগে আপ্লুত ছিলেন।
দেশপ্রেমের ঢেউ এবং অপারেশন সিন্দুরের উৎসাহ
ভোপাল: মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মোহন যাদব ১৪ই আগস্ট ভোপালের বোট ক্লাবে আয়োজিত 'নৌকা তিরঙ্গা যাত্রা'-য় অংশ নিয়ে দেশপ্রেমের বার্তা দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে অপারেশন সিন্দুরের পর সারা দেশের উৎসাহ এভারেস্টের চূড়ার চেয়েও উঁচুতে পৌঁছেছে। পুকুরে উড়তে থাকা তেরঙ্গা তাঁকে ক্রমাগত এগিয়ে যেতে প্রেরণা দিচ্ছে। এই সময় মুখ্যমন্ত্রী 'ইয়ে দেশ হ্যায় বীর-জওয়ানো কা...' গেয়ে জনগণের মধ্যে দেশপ্রেমের চেতনা জাগিয়ে তোলেন। তিনি বলেন যে সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে উন্নয়নের সংকল্পকে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
ডঃ যাদব বিরোধীদেরও নিশানা করেন। তিনি বলেন যে গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়া সত্ত্বেও বিরোধী নেতারা ক্রমাগত ভুল করছেন এবং সেনার কার্যকলাপের প্রমাণ চাইছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন যে যখন দেশ অপারেশন সিন্দুরের উৎসাহে মত্ত, তখনও বিরোধীরা কেবল রাজনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত।
জনকল্যাণ ও উন্নয়নে সংকল্পবদ্ধ সরকার
মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মোহন যাদব পুকুরে উড়তে থাকা তেরঙ্গা দেখে বলেন যে এগুলো তাঁকে শক্তিতে ভরপুর করছে এবং জনকল্যাণের সংকল্পের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ভরসা দেন যে সরকার সবাইকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্যের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন যে ভবিষ্যতে ভোপালের পুকুরে জনগণ কাশ্মীরের ডাল লেকের মতো আনন্দ উপভোগ করতে পারবে। ডঃ যাদব সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
বোট ক্লাবের নয়নাভিরাম দৃশ্য
বোট ক্লাবে আয়োজিত নৌকা তিরঙ্গা যাত্রার দৃশ্য ছিল চমৎকার। শত শত নৌকায় চড়ে লোকেরা হাতে তেরঙ্গা নিয়ে দেশপ্রেমের চেতনা দেখাচ্ছিলেন। চারিদিকে বাজতে থাকা দেশাত্মবোধক গানগুলি পরিবেশকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলেছিল এবং উপস্থিত লোকেদের উৎসাহ চরমে পৌঁছেছিল।
লোকেরা নিজেরাই গান গেয়ে অন্যদেরও উৎসাহিত করছিলেন, যেখানে অনেকে হাতে পোস্টার নিয়ে দেশ-রাজ্যের উন্নয়ন এবং দেশপ্রেমের বার্তা দিচ্ছিলেন। এই ধরনের কার্যকলাপ শহরে স্বাধীনতা দিবসের উৎসাহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে দেশাত্মবোধক সুর
‘হর ঘর তিরঙ্গা’ অভিযানের অধীনে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন চত্বরেও তেরঙ্গা যাত্রা বের করা হয়। সচিবালয় ও বাসভবনের আধিকারিক-কর্মচারী, নিরাপত্তা বাহিনী এবং দিদি ক্যাফের বোনেরা হাতে তেরঙ্গা নিয়ে এই যাত্রায় অংশ নেন। চত্বর ‘বন্দে মাতরম’ এবং ‘ভারত মাতা কি জয়’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। এই সময় নাগরিক এবং কর্মীরা দেশপ্রেমের বার্তা দৃঢ়ভাবে তুলে ধরেন।