এনসিপি ২০২৫ সালের বিএমসি নির্বাচনের জন্য নবাব মালিককে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিযুক্ত করেছে। কমিটিতে তাঁর মেয়ে সানা মালিক এবং জীশান সিদ্দিকী অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। দলের লক্ষ্য মালিকের নেতৃত্বে নির্বাচনী প্রচারকে সংগঠিত ও কার্যকর করা এবং সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে নিজেদের প্রভাব আরও শক্তিশালী করা।
মুম্বই: আসন্ন ২০২৫ সালের বিএমসি নির্বাচনকে সামনে রেখে राष्ट्रवादी কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) একটি বড় রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা বর্ষীয়ান নেতা নবাব মালিককে মুম্বই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে নিযুক্ত করেছে। দলের রাজ্য সভাপতি সুনীল तटকরে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে জানান, কমিটিতে মালিকের মেয়ে সানা মালিক, এনসিপি নেতা জীশান সিদ্দিকী সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরাও থাকবেন।
অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি মুম্বইতে তাদের নির্বাচনী প্রচারকে আরও শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যেই এই কমিটি গঠন করেছে। এই পদক্ষেপটি দলের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বিএমসি নির্বাচনে পার্টিকে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের উপর বিশেষ নজর রাখতে হবে এবং মালিককে এর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত প্রার্থী হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
নবাব মালিককে কেন সভাপতি করা হল?
নবাব মালিক তাঁর অভিজ্ঞতা এবং নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতার জন্য পরিচিত। এর আগেও তিনি মুম্বই এনসিপির সভাপতি ছিলেন এবং পার্টিতে তাঁর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। মালিকের নেতৃত্বে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এটা নিশ্চিত করবে যে দলের নির্বাচনী প্রচার সুবিন্যস্ত এবং কার্যকরীভাবে পরিচালিত হয়।
কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য সদস্যরাও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। জীশান সিদ্দিকী এবং সানা মালিকের মতো সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করে পার্টি এই ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা কেবল অভিজ্ঞ নেতাদের উপরই ভরসা করে না, বরং নতুন প্রজন্মকেও সুযোগ দিতে চায়।
বিজেপির বিরোধিতা এবং রাজনৈতিক বিতর্ক
তবে নবাব মালিককে এই পদে বসানো নিয়ে বিজেপি এর আগেও আপত্তি জানিয়েছে। ডিসেম্বর ২০২৩-এ তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস অজিত পাওয়ারকে চিঠি লিখে নবাব মালিকের এনসিপির অজিত পাওয়ার শিবিরে যোগ দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। ফড়নবীস মালিকের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ এবং সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত থাকার মতো গুরুতর অভিযোগের কথা উল্লেখ করেছিলেন।
এছাড়াও, অক্টোবর ২০২৪-এ বিজেপির মুম্বই সভাপতি আশিষ শেলার বলেছিলেন যে, যে নেতাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, তাদের সাথে পার্টি যুক্ত হতে পারে না। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন যে বিজেপি একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে নির্বাচন লড়বে এবং মালিকের জন্য প্রচার করবে না। একই মাসে মহারাষ্ট্র বিজেপির সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলেও মালিকের সম্ভাব্য যোগাযোগ এবং আন্ডারওয়ার্ল্ডের সাথে তাঁর যোগসূত্র নিয়ে দলের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন।
বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ কিরিট সোমাইয়াও মালিককে 'সন্ত্রাসবাদী' আখ্যা দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে অজিত পাওয়ারের এনসিপি কর্তৃক তাঁকে টিকিট দেওয়া দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার সমান। এই ঘটনাগুলো প্রমাণ করে যে নবাব মালিকের রাজনৈতিক জীবন लगातार বিতর্কের মধ্যে ছিল এবং বিজেপি তাঁর নেতৃত্বাধীন প্রচারের বিরোধিতা করে এসেছে।
এনসিপির কৌশল এবং নির্বাচনী প্রস্তুতি
এনসিপির বিশ্বাস, নবাব মালিকের নেতৃত্ব বিএমসি নির্বাচনে পার্টিকে একটি নতুন দিশা দেখাবে। কমিটির উদ্দেশ্য শুধুমাত্র প্রার্থী নির্বাচন করা নয়, বরং পুরো নির্বাচনী প্রচারকে সুষ্ঠু ও সুসংগঠিতভাবে পরিচালনা করা। পার্টি মুম্বইয়ের বিভিন্ন জেলা থেকে प्रमुख নেতাদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যাতে তাদের কৌশল ভোটকেন্দ্র পর্যন্ত प्रभावीভাবে পৌঁছতে পারে।
দলের वरिष्ठ নেতারা মনে করেন যে মালিকের নেতৃত্বে এনসিপি সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক এবং অন্যান্য সামাজিক গোষ্ঠীর মধ্যে নিজেদের প্রভাব আরও मजबूत করতে পারবে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা এই পদক্ষেপকে মুম্বইতে এনসিপির একটি महत्वपूर्ण নির্বাচনী উদ্যোগ হিসেবে মনে করছেন।