ক্রিস ওকসের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা

ক্রিস ওকসের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা
সর্বশেষ আপডেট: 2 ঘণ্টা আগে

ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস সোমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা করেছেন। ওকস বলেছেন, "সময় এসে গেছে এবং আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"

স্পোর্টস নিউজ: ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস সোমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা করেছেন। ৩৬ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় বলেছেন যে এখন তাঁর সময় এসেছে এবং তিনি নিজের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সম্প্রতি তাঁকে অ্যাশেজ ২০২৫-এর জন্য ইংল্যান্ডের স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, যার পর থেকেই তাঁর অবসরের জল্পনা চলছিল।

কাঁধের চোট এবং অবসরের সিদ্ধান্ত

ওকস বেশ কিছুদিন ধরে কাঁধের গুরুতর চোট নিয়ে ভুগছিলেন। এই চোট তাঁকে জুলাই মাসে ভারতের বিরুদ্ধে খেলা পঞ্চম টেস্টে লেগেছিল। সেই ম্যাচে তিনি চোট সত্ত্বেও মাঠে ফিরে এসে ১১ নম্বরে ব্যাট করেছিলেন। ইংল্যান্ড পুরুষ দলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রব কী আগেই পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন যে ওকস "আমাদের ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় নেই।" এই বিবৃতির পর ওকস তাঁর কর্মজীবন নিয়ে ভেবেছিলেন এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

এই বছর নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে মর্যাদাপূর্ণ অ্যাশেজ সিরিজ খেলা হবে। পাঁচ ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ ২১ নভেম্বর থেকে, দ্বিতীয় ম্যাচ ৪ ডিসেম্বর থেকে, তৃতীয় ম্যাচ ১৭ ডিসেম্বর থেকে, চতুর্থ ম্যাচ ২৬ ডিসেম্বর থেকে এবং পঞ্চম ম্যাচ ৪ জানুয়ারি থেকে খেলা হবে।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সারাংশ

  • ৬২ টেস্ট ম্যাচ
  • ১২২ ওয়ানডে ম্যাচ
  • ৩৩ টি২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ

তাঁকে শেষবার ইংল্যান্ডের জার্সিতে ভারতের বিরুদ্ধে ওভাল টেস্টে খেলতে দেখা গিয়েছিল। এই ম্যাচে তিনি কাঁধে ব্যান্ডেজ বেঁধে ব্যাট করেছিলেন, কিন্তু ইংল্যান্ডকে সিরিজ জেতাতে পারেননি। এই সিরিজ ২-২ সমতায় শেষ হয়েছিল।

আবেগপূর্ণ সোশ্যাল মিডিয়া বার্তা

তাঁর অবসরের ঘোষণা করে ওকস সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, "এই মুহূর্তটি এসে গেছে। ছেলেবেলা থেকেই ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখেছিলাম এবং নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান মনে করি যে সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি। ইংল্যান্ডের জার্সি পরা, সতীর্থদের সঙ্গে মাঠ ভাগ করে নেওয়া এবং গত ১৫ বছরে তৈরি হওয়া সম্পর্কগুলি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন।"

তিনি আরও বলেছেন, "২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অভিষেক করাটা যেন গতকালের কথা মনে হয়। দুটি বিশ্বকাপ জেতা এবং স্মরণীয় অ্যাশেজ সিরিজের অংশ হওয়াটা কখনো ভাবিনি। এই স্মৃতিগুলো এবং উদযাপন আমার হৃদয়ে চিরকাল থাকবে।"

Leave a comment