রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মার বিমান ভুল রানওয়েতে অবতরণ করেছে। ডিজিসিএ তদন্ত শুরু করেছে এবং পাইলটদের ওড়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
CM Bhajan Lal: রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মার সরকারি সফরের সময় একটি বড় উড়ান ত্রুটি সামনে এসেছে, যা কেবল পাইলটিং দক্ষতা নয়, নিরাপত্তা এবং পূর্ব-পরিকল্পনা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। ৩১শে জুলাই দিল্লি থেকে ফালোদির দিকে যাওয়া মুখ্যমন্ত্রীর চার্টার্ড বিমানটি নির্ধারিত সামরিক এয়ারবেসের বদলে তার কাছাকাছি অবস্থিত একটি বেসামরিক বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে। এই ঘটনাটি বর্তমানে বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ (ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন)-এর তদন্তের আওতায় রয়েছে।
সামরিক এয়ারবেসের বদলে বেসামরিক রানওয়েতে বিমান
মুখ্যমন্ত্রীর জন্য সংরক্ষিত ড্যাসল্ট ফ্যালকন ২০০০ বিমানটি সরাসরি ফালোদিতে অবস্থিত ভারতীয় বায়ুসেনা স্টেশনে (আইএএফ) অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু পাইলটরা এটিকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে একটি স্থানীয় বেসামরিক বিমান ঘাঁটিতে নামিয়ে দেন। রানওয়েতে অবতরণের পরেই পাইলটরা বুঝতে পারেন যে এটি গন্তব্য রানওয়ে নয়। তখনই এই ভুলটি ধরা পরে।
অবিলম্বে বিমানটি আবার ওড়ে এবং এইবার সঠিক স্থানে – বায়ুসেনা স্টেশনে – অবতরণ করে। মুখ্যমন্ত্রী সেখান থেকে নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী রওনা হন এবং কয়েক ঘণ্টা পর জয়পুরে ফিরে যান। বিমানটি রাতে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
ডিজিসিএ-র পদক্ষেপ: তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত পাইলটদের উপর নিষেধাজ্ঞা
ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেছে। প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে, পাইলটদের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও প্রকার উড়ান পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়নি। ডিজিসিএ স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে এটি শুধুমাত্র "পাইলট এরর" নয়, বরং যোগাযোগ এবং তথ্যের অভাবের দিকেও ইঙ্গিত করে।
রানওয়ের গঠন বিভ্রান্তির কারণ
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বেসামরিক বিমান ঘাঁটি এবং আইএএফ স্টেশনের রানওয়ের গঠন এবং আকার প্রায় একই রকম। মনে করা হচ্ছে যে চাক্ষুষ মিল থাকার কারণে পাইলটরা বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিলেন। এক আধিকারিক বলেন, 'দুটো রানওয়ে দেখতে একই রকম এবং উড়ানের আগে যথাযথ ব্রিফিং না দেওয়া হলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।' এই ঘটনার পরে চার্টার কোম্পানি ডিজিসিএ-কে 'ভুল অবতরণ'-এর রিপোর্ট জমা দিয়েছে, যেখানে তারা পাইলটদের পক্ষ থেকে হওয়া ভুল স্বীকার করেছে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা এড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে।
সুরক্ষার দিক থেকে অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনা একটি গুরুতর নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ইঙ্গিত দেয়। বেসামরিক বিমান ঘাঁটি সাধারণত বড় বিজনেস জেটের ওজন এবং গতি সহ্য করার জন্য তৈরি করা হয় না। রানওয়ের দৈর্ঘ্য, উপাদান এবং টেকনিক্যাল ব্যাকআপ সামরিক এয়ারবেসের তুলনায় অনেক সীমিত থাকে। পাইলটরা সময় মতো ভুলটি ধরতে না পারলে, বিমানের রানওয়েতে ক্ষতি হতে পারত, যার ফলে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকিও থাকত।
এক वरिष्ठ विमान विश्लेषक के अनुसार, 'सिर्फ ৫ কিলোমিটারের ভুল, কিন্তু তা থেকে যুক্ত ঝুঁকি অসাধারণ। সামরিক ক্ষেত্রে কোনো अनाधिकारिक অবतरন सुरक्षा एजेंसी-দের अलर्ट করত, এবং যদি পাইলটরা বেসামরিক रनवे-তে देर तक रुकने की कोशिश करते, तो गंभीर প্রতিক্রিয়া সম্ভব ছিল।'
চার্টার কোম্পানির দায়িত্ব নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন
চার্টার পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানি ডিজিসিএ-কে এই 'ভুল অবতরণ'-এর সরকারি তথ্য দিয়েছে, কিন্তু এটি তদন্তের বিষয় যে কোম্পানি উড়ানের আগে তাদের পাইলটদের সঠিক এবং সম্পূর্ণ তথ্য দিয়েছিল কিনা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে প্রতিটি উড়ানের আগে পাইলটদের রানওয়ের গঠন, অবস্থান এবং আশেপাশের এলাকার সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া অপারেটরের দায়িত্ব।