ডায়াবেটিস রোগীদের সবসময়ই জানতে হয় কোন খাবার খাওয়া নিরাপদ এবং কোনটা এড়িয়ে চলা উচিত। নারকেল, যা এশিয়া, আফ্রিকা, ক্যারিবিয়ান দেশসহ ভারতের বহু মানুষের খাদ্যতালিকায় রয়েছে, সঠিকভাবে খেলে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাদামি খোসার ভেতরের সাদা শাঁস সীমিত পরিমাণে খেলে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
নারকেল: ডায়াবেটিসের জন্য নিরাপদ কি?
নারকেলের সাদা অংশে স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ক্যালোরি বেশি থাকে। তাই অতিরিক্ত খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তবে নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে খেলে নারকেলের আঁশ, খনিজ উপাদান ও কম গ্লাইসেমিক সূচক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
গবেষণায় নারকেলের প্রভাব
ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে, নারকেল ময়দা ও উচ্চ আঁশযুক্ত খাবারের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে। এটি ডায়াবেটিস রোগী এবং সুস্থ উভয়ের জন্যই সুবিধাজনক।
নারকেলের উপকারিতা
আঁশে ভরপুর: হজম ধীর করে এবং রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে।
লো গ্লাইসেমিক ইমপ্যাক্ট: ধীরে ধীরে গ্লুকোজ ছাড়ে, সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য: দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, অযথা খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়।
প্রয়োজনীয় খনিজ: ম্যাঙ্গানিজ, কপার ও আয়রনের মতো উপাদান মেটাবলিজম ও শক্তি উৎপাদনে সহায়ক।
কিভাবে খাওয়া উচিত?
পরিমাণ মেনে খাওয়া: দৈনিক ৩০–৪০ গ্রাম (২–৩ টেবিল চামচ) কুচানো নারকেল।
মিষ্টি নারকেল এড়িয়ে চলা: বাজারের মিষ্টি নারকেল বা ডেজার্টে অতিরিক্ত চিনি থাকে।
লো GI খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া: ডাল, সবজি বা সালাদে কুচানো নারকেল মেশানো যেতে পারে।
চর্বি নিয়ন্ত্রণ: স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের সঙ্গে খেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের ক্ষতি কমে।
রক্তে সুগার মনিটর করা: নারকেল খাওয়ার পর রক্তের শর্করা পর্যবেক্ষণ জরুরি।
ডায়াবেটিস রোগীরা সঠিক পরিমাণে নারকেল খেলে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। নারকেলের আঁশ, কম গ্লাইসেমিক সূচক ও খনিজ উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হলেও, অতিরিক্ত স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও ক্যালোরির কারণে সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।