রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে বুধবার (১৩ই আগস্ট) কংগ্রেস পার্টি ভোট চুরির বিরুদ্ধে এক জোরদার প্রতিবাদ মিছিল বের করে। এই সময় দলের বর্ষীয়ান নেতা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং জাতীয় মহাসচিব সচিন পাইলট উপস্থিত ছিলেন।
রাজস্থান: কংগ্রেস পার্টি 'ভোট চুরি'র বিষয়টিকে নিয়ে তাদের তৎপরতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই বিষয়টিকে নিয়ে পার্টি এখন রাজ্যগুলিতেও বিক্ষোভ শুরু করেছে। বুধবার (১৩ই আগস্ট) জয়পুরে কংগ্রেস ভোট চুরির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। এই মিছিলটি পার্টির প্রদেশ কার্যালয় থেকে শহীদ স্মারক পর্যন্ত যায়। প্রতিবাদ মিছিলে রাজস্থান কংগ্রেসের সকল বড় নেতা অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁরা নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্র সরকারের তীব্র নিন্দা করেন।
এই মিছিলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, জাতীয় মহাসচিব সচিন পাইলট, প্রদেশ সভাপতি গোবিন্দ সিং ডোটাসরা, বিরোধী দলের নেতা টিকারাম জুলি, প্রাক্তন ক্যাবিনেট মন্ত্রী প্রতাপ সিং খাচারিয়াওয়াস সহ অসংখ্য নেতা ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জয়পুরে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন
প্রতিবাদ মিছিলটি কংগ্রেসের প্রদেশ কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহীদ স্মারক পর্যন্ত চলে। এই সময় বিপুল সংখ্যক কংগ্রেস কর্মী অংশ নেন, যাঁদের হাতে প্ল্যাকার্ড এবং পার্টির পতাকা ছিল। কর্মীরা একটানা স্লোগান দিতে দিতে চলছিলেন, যার ফলে পুরো মিছিলে একটি শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ বার্তা দেখা যায়। মিছিলে কংগ্রেস পার্টির অনেক বড় নেতা অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন:
- প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট
- জাতীয় মহাসচিব সচিন পাইলট
- প্রদেশ সভাপতি গোবিন্দ সিং ডোটাসরা
- বিরোধী দলের নেতা টিকারাম জুলি
- প্রাক্তন ক্যাবিনেট মন্ত্রী প্রতাপ সিং খাচারিয়াওয়াস
কংগ্রেসের অভিযোগ: গণতন্ত্রের সঙ্গে ছেলেখেলা
প্রতিবাদ মিছিল চলাকালীন অশোক গেহলট এবং সচিন পাইলট কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন যে দেশে গণতন্ত্রকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে। তাঁরা অভিযোগ করেন যে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোট চুরির মতো ঘটনার মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছার সঙ্গে ছেলেখেলা করা হচ্ছে। গেহলট এবং পাইলট বলেন যে কংগ্রেস পার্টি এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেবে এবং কর্মীদের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে বাঁচানোর লড়াই জারি রাখবে। তাঁরা বলেন, "গণতন্ত্রের রক্ষা করার জন্য আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। রাহুল গান্ধী যে অভিযান শুরু করেছেন, তা যে কোনও মূল্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।"
প্রতিবাদ মিছিলে জয়পুরের পাশাপাশি আশেপাশের জেলা থেকেও কর্মীরা অংশ নেন। কংগ্রেস এই সুযোগটিকে শক্তি প্রদর্শনের রূপে ব্যবহার করে। কর্মীরা হাতে স্লোগান বোর্ড এবং পার্টির পতাকা নিয়ে মিছিল করেন। মিছিলের শান্তিপূর্ণ সমাপ্তি এটা দেখায় যে কংগ্রেস সংগঠন সুসংগঠিত এবং ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের কাছে তাদের আওয়াজ পৌঁছে দিচ্ছে।
আসন্ন কর্মসূচি ও রণনীতি
কংগ্রেস পার্টি ঘোষণা করেছে যে রাজস্থানে ভোট চুরির বিরুদ্ধে অভিযান একটানা চালানো হবে। এর অধীনে পরের দিন অর্থাৎ ১৪ই আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় ক্যান্ডেল মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। পার্টির এই অভিযান রাজধানী জয়পুর ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য জেলায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে। গেহলট এবং পাইলট অভিযোগ করেন যে নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপি সরকারের যোগসাজশে গণতন্ত্রের মৌলিক নীতিগুলির সঙ্গে छेड़छाड़ করা হচ্ছে।
তাঁরা কর্মীদের এই ভরসা দেন যে কংগ্রেস এই বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেবে এবং জনগণের আওয়াজকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।