কন্সটিটিউশন ক্লাব নির্বাচনে রাজীব প্রতাপ রুডির জয়: সঞ্জীব বালিয়ান পরাজিত

কন্সটিটিউশন ক্লাব নির্বাচনে রাজীব প্রতাপ রুডির জয়: সঞ্জীব বালিয়ান পরাজিত

কন্সটিটিউশন ক্লাব অফ ইন্ডিয়া (সিসিআই)-এর সচিব (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) পদের জন্য সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রাজীব প্রতাপ রুডি তাঁর নিজ দলের প্রতিদ্বন্দ্বী সঞ্জীব বালিয়ানকে পরাজিত করে জয়লাভ করেছেন।

Constitution Club Election Result: রাজীব প্রতাপ রুডি কন্সটিটিউশন ক্লাব অফ ইন্ডিয়া (সিসিআই)-এর ব্যবস্থাপনায় তাঁর ২৫ বছরের পুরোনো আধিপত্য বজায় রেখেছেন। এই নির্বাচনে তিনি তাঁর সহকর্মী বিজেপি নেতা সঞ্জীব বালিয়ানকে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলে অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণভাবে জয়ী হয়েছেন। এই ফলাফল নিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

তিনি কটাক্ষ করে বলেন, যদি নির্বাচন গোপন ব্যালটে হত, তাহলে তথাকথিত 'চাণক্য' স্পষ্টভাবে পরাজিত হতেন। পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে বিহারে যদি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, তাহলে 'চাণক্য' আবারও হারবেন।

কপিল সিব্বলের বিবৃতি এবং রাজনৈতিক চাল

রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বল এই নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'এক্স'-এ কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন যে যখন নির্বাচন গোপন ব্যালটের মাধ্যমে হবে, তখন তথাকথিত 'চাণক্য' হেরে যাবেন। বিশেষভাবে বিহারে আসন্ন নির্বাচনগুলির উল্লেখ করে তিনি বলেন, "যদি নির্বাচন অবাধ হয়, তাহলে চাণক্য আবারও হারবেন।" এভাবে সিব্বল পরোক্ষভাবে বিরোধী দলগুলির রাজনৈতিক কৌশলগুলির সমালোচনা করেন।

রাজীব প্রতাপ রুডির জয় ও প্রতিক্রিয়া

সিসিআই-এর নির্বাচনে বিজেপি ও কংগ্রেসসহ অনেক বিশিষ্ট নেতা অংশগ্রহণ করেন। জয়ের পর রুডি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় জানান যে তিনি ১০০-এর বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। তিনি তাঁর প্যানেলের সদস্যদেরও ধন্যবাদ জানান, যারা বিভিন্ন দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং নির্বাচনে তাঁকে সমর্থন করেছিলেন। রুডি বলেন,

'এটি সকল সাংসদ এবং সেই সকল মানুষের জন্য একটি দুর্দান্ত জয়, যারা ভোট দিতে এসেছিলেন এবং গত দুই দশক ধরে দলের অক্লান্ত পরিশ্রমকে সমর্থন করে এসেছেন। এটি একটি অসাধারণ অভিজ্ঞতা।'

এই জয় শুধুমাত্র তাঁর নেতৃত্বের শক্তিকেই প্রমাণ করে না, বরং এও দেখায় যে বিরোধী দলের সদস্যদের সমর্থনেও নির্বাচনে ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব।

ভোটদান এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া

পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিজেপির অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডা ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, কিরেন রিজিজু এবং হিমাচল প্রদেশের শিব প্রতাপ শুক্লার মতো রাজ্যপালরাও ভোট দিয়েছেন। সঞ্জীব বালিয়ান লোকসভার সাংসদ Nishikant Dubey এবং অন্যান্য বিজেপি নেতাদের সমর্থনে নির্বাচনে অংশ নেন, যেখানে বিরোধী দলের অনেক সদস্য রুডির পক্ষে ছিলেন। মোট ১,২৯৫ জন বর্তমান ও প্রাক্তন সাংসদের মধ্যে ৬৮০-এর বেশি বৈধ ভোট পড়েছিল। ১১টি কার্যনির্বাহী সদস্য পদের জন্য ১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।

রাজীব প্রতাপ রুডির কৃতিত্ব এবং পটভূমি

  • পাঁচবারের সাংসদ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
  • একজন কমার্শিয়াল পাইলটও।
  • দুই দশকের বেশি সময় ধরে সিসিআই-এর সচিব (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) পদে কর্মরত।
  • বিহার থেকে এসেছেন, যেখানে সঞ্জীব বালিয়ান পশ্চিম উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা।
  • কার্যকালে ক্লাবকে শক্তিশালী করতে এবং প্রতিষ্ঠানকে পুনরুদ্ধার করতে ভূমিকা রেখেছেন।

রুডি এবং বালিয়ান, যদিও একই দলের সদস্য, তবুও তাঁদের সামাজিক ও রাজনৈতিক পটভূমি ভিন্ন। রুডির শান্ত ও অভিজ্ঞ নেতৃত্ব ক্লাবের পরিচালনায় স্থিতিশীলতা প্রদান করে এসেছে, যেখানে বালিয়ান যুবশক্তি ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। সিসিআই নির্বাচন শুধুমাত্র সাংগঠনিক পদের জন্য নয়, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং নেতাদের প্রভাবের দিকেও গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a comment