দারুল উলুম দেওবন্দে মহিলাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা: কারণ ও প্রতিক্রিয়া

দারুল উলুম দেওবন্দে মহিলাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা: কারণ ও প্রতিক্রিয়া
সর্বশেষ আপডেট: 2 দিন আগে

উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর জেলায় অবস্থিত দারুল উলুম দেওবন্দ একটি নতুন নিয়ম জারি করে মহিলাদের প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছে। মঙ্গলবার, এই সিদ্ধান্তের তথ্য একটি নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয়েছে, যা প্রধান দরজায় সাঁটানো হয়েছে।

উত্তর প্রদেশ: ভারতের অন্যতম বিখ্যাত ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ তাদের ক্যাম্পাসে মহিলাদের প্রবেশে আবারও সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান দরজায় সাঁটানো একটি নোটিশের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের মতে, মহিলারা গোপনে ক্যাম্পাসে ভিডিও রিল তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করার কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

নোটিশে সুস্পষ্ট নির্দেশাবলী

দারুল উলুম কর্তৃক জারিকৃত নোটিশে লেখা আছে যে, ক্যাম্পাসে মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ। এছাড়াও, কোনো দর্শককে ক্যাম্পাসের ভিতরে ফটোগ্রাফি বা ভিডিও করার অনুমতি দেওয়া হবে না। ক্যাম্পাসে যেকোনো প্রকার তামাক, গুটখা, নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন বা ব্যবহার নিষিদ্ধ। নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে ক্যাম্পাসের গাছপালা স্পর্শ বা ভাঙার ওপরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং সমস্ত দর্শককে সূর্যাস্তের আগে ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে হবে।

কর্তৃপক্ষের মতে, বিগত কয়েক মাসে কিছু মহিলা অনুমতি ছাড়াই দারুল উলুম ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ভিডিও রিল তৈরি করছিল এবং সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করছিল। এই ভিডিওগুলোতে ধর্মীয় স্থানের মর্যাদা লঙ্ঘন হতে দেখা যাচ্ছিল, যা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করছিল।

দারুল উলুমের একজন वरिष्ठ পদাধিকারী জানিয়েছেন, "আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম এবং ধর্মীয় শৃঙ্খলা রক্ষা করা আমাদের অগ্রাধিকার। মহিলাদের দ্বারা নিয়ম লঙ্ঘন এবং ভিডিও শুটিং আমাদের ঐতিহ্যকে আঘাত করেছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া अनिवार्य ছিল।"

পূর্বে নিষেধাজ্ঞা ছিল, সীমিত অনুমতি পাওয়া গিয়েছিল

উল্লেখ্য, এই প্রথমবার নয় যে দারুল উলুম মহিলাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর আগেও মহিলাদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল, যা পরে কিছু শর্তের সাথে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। শর্তানুসারে, মহিলাদের রেজিস্টারে এন্ট্রি করে অনুমতি নিয়েই প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি, यह अपेक्षा করা হয়েছিল যে তাঁরা প্রতিষ্ঠানের गरिমা এবং নিয়মাবলীর সম্পূর্ণভাবে पालन করবেন।

তবে, কর্তৃপক্ষের বক্তব্য হল যে এই শর্তগুলি পালন করা হয়নি এবং কিছু মহিলা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-নির্দেশগুলিকে উপেক্ষা করে ভিডিও তৈরিতে ব্যস্ত ছিলেন।

মহিলাদের জিয়ারতেরও অনুমতি থাকবে না

নতুন আদেশ অনুসারে, মহিলাদের এখন থেকে কোনও প্রকার জিয়ারত বা ক্যাম্পাসে ঘোরার অনুমতি দেওয়া হবে না। কর্তৃপক্ষের আরও বক্তব্য, এই সিদ্ধান্ত স্থায়ী নয়, তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার না হয়, ততক্ষণ এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে একদিকে যেমন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তাদের মূল্যবোধ ও मर्यादा রক্ষার দাবি করছে, তেমনই दूसरी ओर এই সিদ্ধান্ত মহিলাদের अभिव्यक्ति এবং ধর্মীয় স্থানের সার্বজনীনতা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে। এটা দেখা আকর্ষণীয় হবে যে সামাজিক সংগঠন এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীর এই বিষয়ে কী প্রতিক্রিয়া হয়।

Leave a comment