কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিদেশ নীতির প্রশংসা করে বলেছেন যে, মোদী সরকার ভারতকে আন্তর্জাতিক স্তরে একটি শক্তিশালী ও আত্মবিশ্বাসী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের বিদেশ নীতিকে শক্তিশালী করার দিকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। তিনি মোদীর কার্যকালের তুলনা দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং কংগ্রেস সরকারগুলির কার্যকালের সাথে করে বলেছেন যে, যখন ইতিহাসবিদরা এই সময়ের মূল্যায়ন করবেন, তখন ফলাফল প্রধানমন্ত্রী মোদীর পক্ষেই আসবে।
শাহ আরও জানিয়েছেন যে, গত দশ বছরে ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছেন এবং ভারতের অর্থনীতি ১১তম স্থান থেকে বেড়ে চতুর্থ স্থানে পৌঁছে গেছে। এর পাশাপাশি ৩৭০ ধারা বাতিল, রাম মন্দির নির্মাণ, তিন তালাক রদ, নাগরিকত্বের সংজ্ঞা স্পষ্ট হওয়া এবং ভারতীয় পাসপোর্টের আন্তর্জাতিক সম্মান বৃদ্ধির মতো বড় পরিবর্তনগুলিও এই দশকেই সম্ভব হয়েছে।
মোদী যুগ বনাম নেহরু যুগের তুলনা
অমিত শাহ ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং কংগ্রেস শাসনকালের বিদেশ নীতির তুলনা মোদী সরকারের সাথে করে বলেছেন যে, ইতিহাসবিদদের দৃষ্টিতে "মোদী যুগ" আরও বেশি প্রভাবশালী বলে বিবেচিত হবে। তিনি বলেছেন, যখন ইতিহাসবিদরা প্রধানমন্ত্রী মোদীর যুগের তুলনা অন্যান্য প্রধানমন্ত্রীদের যুগের সাথে করবেন তখন সিদ্ধান্ত সর্বদা মোদীজির পক্ষেই আসবে। শাহ আরও যোগ করেছেন যে, মোদী সরকারের নেতৃত্বে ভারত কেবল কূটনীতিতেই নয়, বরং সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও বড় পরিবর্তন দেখেছে।
দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক অর্জন
অমিত শাহ মোদী সরকারের অর্থনৈতিক অর্জনগুলি তুলে ধরে বলেছেন যে, বিগত এক দশকে ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যসীমার বাইরে আনা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন যে, ভারতের অর্থনীতি, যা একসময় ১১তম স্থানে ছিল, এখন বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেছেন যে, এই অর্জনগুলির কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী মোদীর দূরদর্শী নীতি এবং সিদ্ধান্তমূলক নেতৃত্বকে যায়, যা ভারতকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।
- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোদী সরকার কর্তৃক গৃহীত কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথাও আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে:
- ৩৭০ ধারা বাতিল – জম্মু ও কাশ্মীর থেকে কয়েক দশক ধরে চলে আসা বিশেষ বিধানের অবসান।
- রাম মন্দির নির্মাণ – দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সমস্যার সমাধান।
- তিন তালাক রদ – মুসলিম মহিলাদের জন্য ন্যায়বিচার ও সমতা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ।
- নাগরিকত্বের সংজ্ঞা স্পষ্ট করা – নাগরিকত্ব আইনে সংস্কার করে স্পষ্টতা আনা।
- ভারতীয় পাসপোর্টের বর্ধিত সম্মান – বিদেশে ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার ও সম্মান শক্তিশালী করা।
শাহ বলেছেন যে, এই সবের মাধ্যমে ভারত তার জাতীয় পরিচয়কে আরও শক্তিশালী করেছে। বিদেশ নীতি প্রসঙ্গে শাহ বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদী আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতকে নতুন পরিচিতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের বিদেশ নীতির গভীর অধ্যয়ন করার পর আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে, আগে এতে মেরুদণ্ডের অভাব ছিল। নরেন্দ্র মোদী বিদেশ নীতিকে শক্তিশালী ও দৃঢ় করেছেন।