দেহরাদুনের জাখন এলাকায় ৭৫ বছর বয়সী কৌশল্যা দেবীর উপর দুটি রটওয়েলার জাতের কুকুর হামলা করে, যার ফলে তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁর শরীরে ২০০টিরও বেশি সেলাই পড়েছে এবং বেশ কয়েকটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। ঘটনার
পর থেকে তিনি মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত এবং ঘুমের মধ্যেও কুকুরের ঘোঁতঘোঁত শব্দ শুনতে পান। চিকিৎসায় এ পর্যন্ত প্রায় ২.৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে, এবং আরও দুটি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। তাঁর একমাত্র ছেলেও নিজের
কাজ ছেড়ে হাসপাতালের পিছনে ছুটছেন, যার ফলে পরিবারের আর্থিক অবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কুকুরগুলির মালিক মহম্মদ জাইদের বিরুদ্ধে পুলিশে মামলা দায়ের করা হয়েছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
স্থানীয়রা এর আগেও এই কুকুরগুলির বিপদ সম্পর্কে অভিযোগ করেছিলেন, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এই ঘটনা দেহরাদুন নগর নিগমকে সচেতন করেছে এবং তারা পথকুকুরের হামলা রোধ করার জন্য একটি নতুন নীতি অনুমোদন করেছে। এই নীতির অধীনে, আক্রমণাত্মক কুকুরদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, পোষা কুকুরদের জন্য
কঠোর নিয়ম প্রয়োগ করা এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে ডগ ফিডিং আশ্রয়কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও, খোলা জায়গায় কুকুরদের খাওয়ানোর উপর জরিমানা ধার্যের বিধানও রয়েছে।