দিল্লি সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে যে রাজধানীতে ডিটিসি বাসের কোনো অভাব নেই। উৎসবের মরসুমে যাত্রীদের ভিড় থাকা সত্ত্বেও, সমস্ত রুটে বাস নিয়মিত চলছে এবং বাসের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
নয়াদিল্লি: দিল্লিতে গণপরিবহন নিয়ে সম্প্রতি মিডিয়ায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের মধ্যে দিল্লি সরকার স্পষ্ট করেছে যে রাজধানীতে ডিটিসি এবং ক্লাস্টার বাসের সংখ্যা পর্যাপ্ত এবং সমস্ত রুটে বাস পরিষেবা সম্পূর্ণ মসৃণ। পরিবহন মন্ত্রী ডঃ পঙ্কজ কুমার সিং বলেছেন যে মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার নেতৃত্বে বাস রুট সংস্কার এবং ফ্লিট সম্প্রসারণের কাজ নিরন্তর চলছে।
মন্ত্রী আরও স্পষ্ট করেছেন যে উৎসবের মরসুমে যাত্রীর সংখ্যা বাড়ার কারণে কিছু জায়গায় সামান্য অসুবিধা হতে পারে, তবে এর মানে এই নয় যে বাসের অভাব রয়েছে।
রাজধানীর ৪২৬টি রুটে বাস পরিষেবা শুরু
দিল্লি সরকারের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর প্রতিটি রুটে ডিটিসি এবং ক্লাস্টার বাস স্বাভাবিকভাবে চলছে। বর্তমানে প্রায় ৪,০০০ বাসের একটি সক্রিয় ফ্লিট রাজধানীর রাস্তায় চলাচল করছে। এর মধ্যে সিএনজি বাস, লম্বা ইলেকট্রিক বাস এবং ৯ মিটার লম্বা দেবী ইলেকট্রিক বাস অন্তর্ভুক্ত।
এই বাসগুলি মোট ৪২৬টি শহরের রুট, ১২টি এনসিআর রুট এবং ৭০টি বিশেষ রুটে পরিষেবা দিচ্ছে। সরকার জানিয়েছে যে কোনো রুটে বাস পরিষেবা বন্ধ করা হয়নি এবং গ্রামীণ ও শহুরে উভয় এলাকাতেই আগের মতোই বাস পরিষেবা চালু রয়েছে।
বাসের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তুতি

সরকারের লক্ষ্য হলো আগামী বছর নাগাদ বাসের সংখ্যা বাড়িয়ে ৭,০০০ করা, যার ফলে দিল্লি ও এনসিআর-এ যাতায়াত আরও সহজ হবে। নতুন বাস ফ্লিটে ইলেকট্রিক বাসের ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে যাতে পরিবেশ রক্ষা করা যায় এবং রাজধানীতে একটি পরিচ্ছন্ন গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়।
আইআইটি দিল্লির সহযোগিতায় বাস রুটগুলির পুনর্গঠন করা হচ্ছে যাতে অপেক্ষার সময় কমে এবং যাত্রীরা আরও ভালো সুবিধা পান। বিশেষ করে বাইরের এলাকাগুলিতে নতুন বাস চালানো হচ্ছে যাতে সেখানকার নাগরিকরাও সহজে যাতায়াত করতে পারেন।
যাত্রীদের সুবিধা এবং রুট সংস্কার
সরকার জানিয়েছে যে নতুন বাস কিউ শেল্টার (বাস স্টপ) তৈরি করা হচ্ছে এবং বাসের সংখ্যা বাড়িয়ে যাত্রীদের সুবিধা আরও উন্নত করা হবে। ডঃ সিং বলেছেন, "আমরা চাই দিল্লির প্রতিটি নাগরিক নিরাপদ, আরামদায়ক এবং নির্ভরযোগ্য গণপরিবহন পাক। এর জন্য রুট সংস্কার, বাসের সম্প্রসারণ এবং ইলেকট্রিক বাসের ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।" সরকার মনে করে যে এই উদ্যোগটি কেবল যাত্রীদের জন্যই সুবিধাজনক নয়, বরং দিল্লিতে দূষণ কমাতেও সাহায্য করবে।











