দিল্লিতে স্বাধীনতা দিবসের নিরাপত্তা: ড্রোন থেকে স্নাইপার, কড়া নজরদারি

দিল্লিতে স্বাধীনতা দিবসের নিরাপত্তা: ড্রোন থেকে স্নাইপার, কড়া নজরদারি

দিল্লিতে ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসে কড়া নিরাপত্তা থাকবে। ৭,৫০০-এর বেশি সুরক্ষাকর্মী, ড্রোন নজরদারি, ৮০০-র বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা এবং স্নাইপার মোতায়েন করা হবে। লাল কেল্লা ও সংসদ অঞ্চলকে হাই সিকিউরিটি জোন ঘোষণা করা হবে।

দিল্লি: ১৫ই আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস বিপুল সমারোহে পালিত হয়। এই উপলক্ষে রাজধানী দিল্লিতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়, যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যায়। এই বছরও সুরক্ষার জোরদার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যার মধ্যে ড্রোন থেকে শুরু করে স্নাইপার পর্যন্ত মোতায়েন থাকবে। আসুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক, দিল্লিতে ১৫ই আগস্ট কিভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যাপক পরিধি

দিল্লি পুলিশ এইবার নিরাপত্তার জন্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রায় ৭,৫০০-এর বেশি সুরক্ষাকর্মী মোতায়েন করা হবে, যারা পুরো শহর জুড়ে নজরদারি চালাবে। সংসদ এবং লাল কেল্লার আশেপাশে বিশেষ সুরক্ষা অঞ্চল তৈরি করা হবে, যেখানে অতিরিক্ত সতর্কতা বজায় রাখা হবে।

রাস্তা, বাজার এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকবে যাতে কোনো সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে আসা মাত্রই ধরা যায়। এই কারণে পুরো শহরকে একটি দুর্গের মতো সুরক্ষা দেওয়া হবে।

আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার

এইবার সুরক্ষায় প্রযুক্তিরও ব্যাপক ব্যবহার করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ প্রায় ৮০০-র বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছে, যা পুরো এলাকার ওপর নজর রাখবে। এছাড়াও, মুখ চিহ্নিত করতে সক্ষম সফটওয়্যার যুক্ত ক্যামেরা ভ্যান প্রধান প্রবেশদ্বারগুলিতে মোতায়েন করা হবে।

ড্রোন-বিরোধী সিস্টেমও লাগানো হয়েছে যাতে কোনো ড্রোন ব্যবহার করে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ব্যাঘাত না ঘটাতে পারে। এছাড়াও, উড়ন্ত বস্তুর ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

লাল কেল্লা ও সংসদ অঞ্চলের নিরাপত্তা

লাল কেল্লার নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। এখানে ৩৬৬টি ক্যামেরা সবসময় নজরদারি চালাবে। অনুষ্ঠানের সময় ৪২৬টি ক্যামেরা দিয়ে লাইভ মনিটরিং করা হবে। এর জন্য লাল কেল্লার ভিতরে ও বাইরে দুটি কন্ট্রোল রুমও স্থাপন করা হয়েছে।

স্নাইপারদের উঁচু বিল্ডিংগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে যাতে যেকোনো সম্ভাব্য বিপদ দ্রুত আটকানো যায়। সংসদ ভবনের আশেপাশেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এবং হাই সিকিউরিটি জোন তৈরি করা হয়েছে।

বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন

১৫ই আগস্ট লাল কেল্লায় বহুস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা লাগু থাকবে। এতে দিল্লি পুলিশের পাশাপাশি আধাসামরিক বাহিনী, এনএসজি কমান্ডো, এসপিজি জওয়ান, সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা এবং অন্যান্য নিরাপত্তা এজেন্সি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

প্রধান মঞ্চের আশেপাশে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থাকবে যাতে অনুষ্ঠান নিরাপদে সম্পন্ন হতে পারে। এর সাথে সাথেই ১৩ই আগস্ট ফুল-ড্রেস রিহার্সালের সময় আশেপাশের সমস্ত বাজার এবং রাস্তা বন্ধ থাকবে। অনেক জায়গায় যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

Leave a comment