ATS-এর ধর্মান্তরণ চক্রের মূল হোতা ছাঙ্গুর এবং নীতুর এক সপ্তাহের রিমান্ড শেষ হয়েছে। আদালত তাদের দুজনকে লখনউ জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।
UP: উত্তর প্রদেশে ধর্মান্তরণের বড় মামলায় ধরা পড়া জালালুদ্দিন ওরফে ছাঙ্গুর এবং নীতু ওরফে নাসরিনের ATS রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় ATS তাদের NIA আদালতে পেশ করে। আদালত তাদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। দুজনকে লখনউ জেলে আলাদা আলাদা ব্যারাকে বন্দী করা হয়েছে।
ATS এক সপ্তাহের রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে
ATS ছাঙ্গুর ও নীতুকে NIA আদালত থেকে এক সপ্তাহের রিমান্ডে নিয়েছিল। রিমান্ডের সময় ATS টিম তাদের নিয়ে বালরামপুর যায়, যেখানে তারা বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালায়। তদন্তের সময় চক্রের সঙ্গে জড়িত নথি, ডিজিটাল ডিভাইস এবং অবৈধ ব্যবসার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ছাঙ্গুরের বিরুদ্ধে হিন্দু যুবতীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ম পরিবর্তন করানোর অভিযোগ রয়েছে।
অবৈধ কার্যকলাপের তদন্তে নেমেছে ATS
বালরামপুর এবং আশেপাশের এলাকাগুলিতে ATS ছাঙ্গুর ও তার চক্রের বেশ কিছু সন্দেহজনক কার্যকলাপের প্রমাণ পেয়েছে। এই সময়ে এমন অনেক আস্তানা চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে কথিতভাবে ধর্মান্তকরণের কার্যকলাপ চলত। ATS এই স্থানগুলিতে পাওয়া প্রমাণের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে।
জেলে স্বামী-স্ত্রী মুখোমুখি
লখনউ জেলা কারাগারে ছাঙ্গুর ও নীতুকে পাঠানোর পর তাদের আলাদা আলাদা ব্যারাকে রাখা হয়েছে। জেল প্রশাসনের মতে, নীতুর স্বামী নবীন ওরফে জামালুদ্দিন আগে থেকেই একই জেলে বন্দী রয়েছে। এখন তিনজন প্রধান অভিযুক্ত একই জেলে রয়েছে। জেলে নিরাপত্তা বিবেচনা করে তাদের সবাইকে উচ্চ-নিরাপত্তা নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
ধর্মান্তরণ চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও নাম
ATS-এর তদন্ত এখন তাদের দিকে এগোচ্ছে যারা এই চক্রের সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িত থাকতে পারে। ছাঙ্গুরের মোবাইল ও নথিপত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও কিছু সন্দেহভাজনের পরিচয় শনাক্ত করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই আরও অনেককে গ্রেপ্তার করা সম্ভব।