ডায়াবেটিস টিপস: বিজয়া দশমীতে মিষ্টি খাওয়া নিয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে চিন্তা থাকে। বাংলার ঐতিহ্য অনুযায়ী পুজোর পর বাড়ি-ঘরে মিষ্টির আয়োজন ও আদান-প্রদান হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মিষ্টি খাওয়া সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ নয়, তবে পরিমাণ ও সময়ের উপর নজর রাখা জরুরি। রোগীরা চিনির বিকল্প ব্যবহার, খালি পেটে না খাওয়া এবং খাওয়ার পর হালকা ব্যায়াম করলে উৎসবকে স্বাস্থ্যবান উপায়ে উপভোগ করতে পারবেন।
মিষ্টির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন
বিজয়া দশমীতে মিষ্টি খাওয়া পুরোপুরি বন্ধ নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন একসাথে বেশি মিষ্টি না খাওয়াই ভালো। একটি ছোট সন্দেশ বা অর্ধেক রসগোল্লা খেলে যথেষ্ট। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাবে না এবং স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
চিনির বিকল্প ব্যবহার করুন
বাড়িতে যদি মিষ্টি বানান, সাধারণ চিনি না দিয়ে স্টেভিয়া, এরিথ্রিটল বা সুগার-ফ্রি ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো রক্তে গ্লুকোজ বাড়ায় না, তবে স্বাদ বজায় রাখে।
খালি পেটে মিষ্টি এড়িয়ে চলুন
খালি পেটে মিষ্টি খেলে ব্লাড সুগার হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে। তাই আগে কিছু প্রোটিন বা ফাইবার যেমন দই, চিউড়া বা বাদাম খান। এতে সুগারের ওঠানামা নিয়ন্ত্রিত হয়।
যথেষ্ট পানি পান ও হালকা হাঁটাহাঁটি
উৎসবে জল পান করতে ভুলবেন না। মিষ্টি খাওয়ার পর অন্তত ২০–৩০ মিনিট হালকা হাঁটাহাঁটি করুন। এতে শরীরে ইনসুলিন কার্যকর হয় এবং অতিরিক্ত গ্লুকোজ পুড়ে যায়।
প্রাকৃতিক মিষ্টি বেছে নিন
যদি সম্ভব হয়, খেজুর, নারকেল বা ফলের রস দিয়ে তৈরি মিষ্টি খান। যেমন—নারকেল নারু, গাজরের হালুয়া বা শুকনো ফলের লাড্ডু। এগুলোতে প্রাকৃতিক চিনি থাকে, যা তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিকর।
ডায়াবেটিস টিপস: বিজয়া দশমীতে মিষ্টি খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ নয়, তবে ডায়াবেটিস রোগীদের সতর্ক থাকা জরুরি। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন, চিনির বিকল্প ব্যবহার করুন, খালি পেটে মিষ্টি খাবেন না এবং নিয়মিত ব্লাড সুগার পরীক্ষা করুন। এই সহজ উপায়ে উৎসব উপভোগ করা সম্ভব স্বাস্থ্যকে ক্ষতি না করে।