রথযাত্রার আনন্দঘন মুহূর্তকে ঢেকে দিল দুর্ঘটনার ছায়া। কোচবিহারের দিনহাটায় উল্টোরথযাত্রার সময় ভেঙে পড়ল রথের চূড়া, আহত হলেন দুই পুণ্যার্থী। সন্ধ্যার সময় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় বড়নাচিনা বাঁশতলা এলাকায়। পুলিশের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।
জনসমাগমে ঠাসা রথ, তারের ফাঁদেই বিপত্তির সূচনা
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়আটিয়া বাড়ি থেকে বড়নাচিনা বাঁশতলা পর্যন্ত উল্টোরথের আয়োজন হয়। বিপুল সংখ্যক ভক্ত-অনুরাগী রথ টানতে রাস্তায় জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু রথ যখন বড়নাচিনায় ঢোকে, ঠিক তখনই কেবলের তার রথের চূড়ায় আটকে যায়, আর সেখান থেকেই নামে দুর্ঘটনার বজ্রপাত।
চূড়ার ধ্বংসস্তূপে রক্তাক্ত দুই ভক্ত, তড়িঘড়ি হাসপাতালে
চূড়ার ভারি কাঠামো ছিটকে গিয়ে পড়ে উপস্থিত ভক্তদের উপর। আহত হন ভারতী বর্মন ও দুলাল আর্য। স্থানীয়রা ছুটে এসে তাঁদের উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। যদিও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দুই আহতের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।
ভক্তের বর্ণনায় ভয়াল মুহূর্ত — "রক্ত ঝরল রথের পাশে
আহত দুলাল আর্য জানান, “আমি তখন রথের দড়ি টানছিলাম। হঠাৎ মাথায় প্রচণ্ড আঘাত লাগে। রক্ত ঝরে পড়ে রাস্তায়। ওই সময় বুঝতেই পারিনি কী হল।” তার কথায় ফুটে উঠল উৎসবের মাঝে হঠাৎ নেমে আসা বিপদের ছবি।
একই ছবি হুগলিতে, রথের মাথা ভেঙে মৃত্যু — পুনরাবৃত্তি কাকতালীয়?
ঠিক এক সপ্তাহ আগে, হুগলির টি এন মুখার্জি রোডে ঘটে গিয়েছিল একইরকম দুর্ঘটনা। সেখানেও রথের মাথা ভেঙে পড়ে আহত হয়েছিলেন তিনজন, যাঁদের মধ্যে একজন পরবর্তীতে মারা যান। প্রশ্ন উঠছে— রথযাত্রায় নিরাপত্তা ঘাটতি কি বারবার এই বিপর্যয়ের কারণ?
পুলিশ তদন্তে, কেবল সংস্থার দিকেও উঠছে প্রশ্ন
দিনহাটা থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। রাস্তায় বিদ্যুৎ বা ইন্টারনেটের তার কীভাবে এত নিচুতে ঝুলে ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী। রথযাত্রার মত উৎসবে প্রশাসনিক সমন্বয়ের অভাব নিয়েও উঠেছে কটাক্ষ।