সুলতানপুর CHC-তে ডাক্তার-ফার্মাসিস্ট মারামারি: স্বাস্থ্য বিভাগে তোলপাড়, তদন্তে ৩ সদস্যের দল

সুলতানপুর CHC-তে ডাক্তার-ফার্মাসিস্ট মারামারি: স্বাস্থ্য বিভাগে তোলপাড়, তদন্তে ৩ সদস্যের দল
সর্বশেষ আপডেট: 9 ঘণ্টা আগে

সুলতানপুর জেলার কাদিুপুর কমিউনিটি হেলথ সেন্টার (CHC)-এ শনিবার সন্ধ্যায় ডাক্তার ও ফার্মাসিস্টের মধ্যে মারামারির ঘটনা স্বাস্থ্য বিভাগকে নাড়িয়ে দিয়েছে। কর্মকর্তারা বিষয়টি আমলে নিয়ে এর তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করেছেন

ঘটনার পটভূমি

বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল তখন, যখন একজন রোগীর জন্য ওষুধ লেখার প্রয়োজন পড়ে। ডাক্তার বাইরে থেকে লেখা ওষুধ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, এবং ফার্মাসিস্ট অবধেশ কুমার মৌর্যও এর জবাব দেন। কথা কাটাকাটি বাড়তে বাড়তে হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়

ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। কর্মকর্তারা দাবি করছেন যে, একটি আপোষনামায় (মীমাংসা নথি) চাপ সৃষ্টি করে স্বাক্ষর করানো হয়েছে

ফার্মাসিস্ট একটি আবেদনপত্রে বলেছেন যে, তাকে বারণ করা সত্ত্বেও আপোষনামায় স্বাক্ষর করতে বলা হয়েছে — তিনি এই কার্যক্রমে সন্তুষ্ট নন

তদন্ত প্রক্রিয়া ও কর্মকর্তাদের বক্তব্য

তদন্ত দলে রয়েছেন: অতিরিক্ত প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ড. জে.সি. সরোজ, ড. সঞ্জয় গুপ্তা এবং জেলা হাসপাতালের প্রধান ফার্মাসিস্ট শশীকান্ত মিশ্র

দলটি ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাক্তার দীপংকর বিশ্বাস, ফার্মাসিস্ট অবধেশ কুমার মৌর্য, সিএইচসি সুপারিনটেনডেন্ট ড. সেবারাম যাদব, প্রাক্তন সুপারিনটেনডেন্ট ড. মিথিলেশ বর্মা এবং অন্যান্য কর্মীদের বক্তব্য রেকর্ড করেছে। তদন্ত দল জানিয়েছে যে, দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে

গুরুত্ব ও সম্ভাব্য প্রভাব

এই ঘটনা স্বাস্থ্য বিভাগের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং স্বচ্ছ কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলে। যদি তদন্তে এটি সত্য প্রমাণিত হয় যে, চাপ সৃষ্টি করে আপোষনামা জোর করে করানো হয়েছে, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং ফার্মেসি বিভাগের মধ্যে স্পষ্ট ভূমিকা ও দায়িত্বের সীমা নির্ধারণ করা এখন আরও জরুরি হয়ে পড়েছে

Leave a comment