ডুরান্ড কাপ বিজয়ী নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-কে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মাননা

ডুরান্ড কাপ বিজয়ী নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-কে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মাননা

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বুধবার এশিয়ার প্রাচীনতম ফুটবল টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপের বিজয়ী দল নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-কে সম্মানিত করেছেন। রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি দলের হাতে ‘প্রেসিডেন্টস কাপ’ তুলে দেন।

স্পোর্টস নিউজ: নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি (NorthEast United FC) ইতিহাস তৈরি করে এশিয়ার প্রাচীনতম ফুটবল টুর্নামেন্ট ডুরান্ড কাপ ২০২৫ (Durand Cup 2025)-এর খেতাব পরপর দ্বিতীয়বার নিজেদের নামে করেছে। এই ঐতিহাসিক জয়ের পর বুধবার রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু দলটিকে সম্মানিত করেছেন।

রাষ্ট্রপতি মুর্মু দলটিকে प्रतिष्ठित ‘প্রেসিডেন্টস কাপ’ প্রদান করেন, যা ডুরান্ড কাপের বিজয়ীকে দেওয়া তিনটি প্রধান ট্রফির মধ্যে একটি। এই সম্মান কেবল দলের কৃতিত্বকেই বিশেষ করে তোলেনি, বরং এই টুর্নামেন্টের ঐতিহ্য এবং জাতীয় গুরুত্বকেও তুলে ধরেছে।

রাষ্ট্রপতি ভবনে জমকালো সম্মান অনুষ্ঠান

‘প্রেসিডেন্টস কাপ’-এর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ ১৯৫৬ সালে। তখন থেকে এই ট্রফি শ্রেষ্ঠত্ব এবং সম্মানের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। ডুরান্ড কাপ কেবল একটি টুর্নামেন্টই নয়, এটি ভারতের ফুটবল ঐতিহ্য এবং উত্তরাধিকারের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই কাপের মাধ্যমে দেশের ক্রীড়া সংস্কৃতি এবং জাতীয় ঐক্যকেও উৎসাহিত করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ডুরান্ড ফুটবল টুর্নামেন্ট সোসাইটি এবং ডুরান্ড কাপ আয়োজন কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-এর মালিক জন আব্রাহাম, দলের অধিনায়ক রিডিম ত্লাং এবং ক্লাবের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মান্দার তামহানে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ট্রফি গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয় বিজয়ী খেলোয়াড়, আয়োজক এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মিলিত ছবি তোলার মাধ্যমে। এই মুহূর্তটি দল এবং সমগ্র উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের জন্য গর্বের বিষয় হয়ে ওঠে।

নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-এর ঐতিহাসিক কৃতিত্ব

নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি (NEUFC) পরপর দ্বিতীয়বার ডুরান্ড কাপ জিতে ভারতীয় ফুটবলে তাদের শক্তি এবং ধারাবাহিকতার পরিচয় দিয়েছে। এই কৃতিত্ব বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কারণ ডুরান্ড কাপ এশিয়ার প্রাচীনতম এবং বিশ্বের তৃতীয় প্রাচীনতম ফুটবল টুর্নামেন্ট হিসেবে বিবেচিত হয়। দলটি কেবল তাদের খেলার দক্ষতা দিয়েই নয়, বরং সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের ফুটবল সংস্কৃতি এবং উদ্দীপনাকেও জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে দৃঢ়ভাবে উপস্থাপন করেছে।

উত্তর-পূর্ব ভারত দীর্ঘকাল ধরে ফুটবলের আঁতুড়ঘর হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এখানকার খেলোয়াড়দের প্রতিভা এবং নিষ্ঠা ভারতীয় ফুটবলকে নতুন দিশা দিয়েছে। নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি-এর এই জয়ে এই অঞ্চলের হাজার হাজার যুবক অনুপ্রাণিত হয়েছে, যারা ভবিষ্যতে ভারতীয় ফুটবলের প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখে।

Leave a comment