দুর্গাপুজোর অর্থনীতি ৪০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা লক্ষাধিক কর্মসংস্থান বাংলায়!

দুর্গাপুজোর অর্থনীতি ৪০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা লক্ষাধিক কর্মসংস্থান বাংলায়!

পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো শুধুমাত্র ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উদযাপন নয়, বরং রাজ্যের অর্থনীতিকে জীবন্ত রাখার মূল চালক। রিটেল, রেস্তোরাঁ, হোটেল, প্যান্ডেল শিল্প ও স্থানীয় কুমোরটুলি শিল্প মিলিয়ে প্রতি বছর প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়। একই সঙ্গে এটি লক্ষাধিক অস্থায়ী কর্মসংস্থান তৈরি করে, যা রাজ্যের গ্রামের মানুষদের বছরের প্রয়োজনীয় আয়ের উৎস।

দুর্গাপুজোতে টাকার স্রোত

পুজোর কয়েক মাস আগে থেকেই বাড়তে থাকে সাধারণ মানুষের খরচ। জামাকাপড়, ইলেকট্রনিক্স, হোটেল, রেস্তোরাঁ—প্রায় সব ক্ষেত্রেই চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে কলকাতার রেস্তোরাঁ ও বারগুলোর আয় শুধু পুজোর কয়েকদিনে ১,১০০ কোটি টাকার বেশি হয়েছিল।

অস্থায়ী কর্মসংস্থান

পুজোর সব কাজ সামলাতে প্রয়োজন হয় প্রচুর মানুষের। প্যান্ডেল শিল্পী থেকে কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী, ইলেকট্রিশিয়ান থেকে ঢাকি—প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৩ লক্ষ অস্থায়ী কর্মসংস্থান তৈরি হয়। এভাবে পুজোর অর্থনীতি গ্রামীণ পরিবারের আয়ের জন্য সারা বছর রক্ষা দেয়।

আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র

২০২১ সালে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে কলকাতার দুর্গাপুজো আন্তর্জাতিক পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা ভিড় জমান। ফলে হোটেল, বিমান সংস্থা এবং স্থানীয় পরিবহণের ব্যবসা লাভবান হয়।

অর্থনীতিতে দুর্গাপুজোর অবদান

ব্রিটিশ কাউন্সিলের গবেষণা অনুযায়ী, দুর্গাপুজো পশ্চিমবঙ্গের ক্রিয়েটিভ অর্থনীতিতে মোট জিডিপির ২.৫ শতাংশের বেশি অবদান রাখে। এটি শুধু উৎসব নয়, বরং রাজ্যের অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ চালক, যা লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলে।


দুর্গাপুজো শুধুই উৎসব নয়, এটি পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতির একটি শক্তিশালী চালক। প্রতি বছর রিটেল, হোটেল, রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে স্থানীয় শিল্প ও শিল্পীদের মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়। পুজোর সময় তৈরি হয় লক্ষাধিক অস্থায়ী কর্মসংস্থান, যা গ্রামীণ পরিবারগুলোর আয়ের বড় উৎস।

Leave a comment