সরকার পুরনো ও অনিরাপদ যানবাহন রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য ফিটনেস টেস্ট ফি বাড়ানোর প্রস্তাব রেখেছে। ২০ বছরের পুরনো গাড়ির জন্য এই ফি ₹২,০০০ পর্যন্ত এবং ১৫ বছরের পুরনো ট্রাক-বাসের জন্য ₹২৫,০০০ পর্যন্ত হতে পারে। এই পরিবর্তনের উদ্দেশ্য হল সড়ক সুরক্ষা ও পরিবেশ সুরক্ষা বৃদ্ধি করা।
ফিটনেস টেস্ট ফি: ভারত সরকার পুরনো এবং দূষণ ছড়ানো যানবাহন রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলার এবং পরিবেশ সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য ফিটনেস টেস্ট ফি-তে বিপুল পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব আনছে। এর অধীনে ২০ বছরের পুরনো ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য ফি ₹২,০০০ পর্যন্ত এবং ১৫ বছরের পুরনো মাঝারি ও ভারী বাণিজ্যিক যানবাহনের জন্য ₹২৫,০০০ পর্যন্ত হতে পারে। প্রস্তাবে প্রযুক্তিগত পরীক্ষা কঠোর করা এবং স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করাও অন্তর্ভুক্ত।
ফিটনেস টেস্ট ফি-তে কত বাড়ানো হবে?
সরকারের সাম্প্রতিক প্রস্তাব অনুযায়ী, ২০ বছরের বেশি পুরনো ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য ফিটনেস টেস্ট ফি ₹২,০০০ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। অন্যদিকে, ১৫ বছরের বেশি পুরনো মাঝারি এবং ভারী বাণিজ্যিক যানবাহন যেমন ট্রাক ও বাসের জন্য ফি ₹২৫,০০০ পর্যন্ত প্রস্তাবিত। এই পরিবর্তনটি রাস্তায় নিরাপদ এবং পরিবেশগতভাবে উন্নত যানবাহন প্রচারের জন্য করা হচ্ছে।
বর্তমানে অনেক RTO প্রযুক্তিগত পরীক্ষা ছাড়াই ফিটনেস সার্টিফিকেট জারি করে। নতুন প্রস্তাবের অধীনে, ১৫ বছরের বেশি পুরনো ব্যক্তিগত যানবাহনের জন্য স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তিগত ফিটনেস টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হবে। একইভাবে, বাণিজ্যিক যানবাহনের জন্য বয়স অনুযায়ী ফি ১০, ১৩, ১৫ এবং ২০ বছরের স্ল্যাবে ভাগ করা হবে।
বর্তমান নিয়মাবলী এবং তাদের সীমাবদ্ধতা
বর্তমানে বাণিজ্যিক যানবাহনের জন্য ফিটনেস টেস্ট প্রথম ৮ বছর পর্যন্ত প্রতি ২ বছরে এবং তারপর প্রতি বছর বাধ্যতামূলক। অন্যদিকে, ব্যক্তিগত যানবাহনের জন্য প্রথম ফিটনেস টেস্ট ১৫ বছর পূর্তিতে হয়। এরপর প্রতি ৫ বছরে একবার টেস্ট হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান নিয়মগুলি যথেষ্ট নয়। অনেক সময় পুরনো যানবাহন সঠিক প্রযুক্তিগত পরীক্ষা ছাড়াই রাস্তায় চলতে থাকে, যা সড়ক সুরক্ষা বিপন্ন করে।
সড়ক সুরক্ষা এবং পরিবেশের জন্য গুরুত্ব
দিল্লির প্রাক্তন ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট কমিশনার অনিল ছিকরা বলেন যে, যানবাহন ব্যক্তিগত হোক বা বাণিজ্যিক, তার ফিটনেস সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। অনুপযুক্ত যানবাহন রাস্তায় সকলের জন্য বিপজ্জনক। ফিটনেস টেস্ট প্রক্রিয়া কঠোর করলে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমতে পারে।
এছাড়াও, পুরনো এবং দূষণ ছড়ানো যানবাহন পরিবেশের জন্যও হুমকি। বেশি বয়স্ক যানবাহন বেশি ধোঁয়া নির্গত করে এবং বাতাসের গুণমানকে প্রভাবিত করে। নতুন প্রস্তাবটি যানবাহনের নিয়মিত প্রযুক্তিগত পরীক্ষা নিশ্চিত করবে এবং দূষণ কমাতে সাহায্য করবে।
পুরনো গাড়ির মালিকদের উপর কী প্রভাব পড়বে?
এই পরিবর্তন কার্যকর হলে পুরনো গাড়ির মালিকদের বেশি শুল্ক দিতে হবে। ব্যক্তিগত গাড়ির মালিকদের জন্য এটি ₹২,০০০ পর্যন্ত হতে পারে, অন্যদিকে ট্রাক এবং বড় বাণিজ্যিক গাড়ির মালিকদের জন্য ₹২৫,০০০ পর্যন্ত খরচ হবে। এর পাশাপাশি, সকল যানবাহনের জন্য নিয়মিত প্রযুক্তিগত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হবে।
এই পদক্ষেপটি পুরনো যানবাহন রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া এবং নিরাপদ যানবাহনের প্রচারের দিকে একটি পদক্ষেপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই পরিবর্তনটি গাড়ি মালিকদের তাদের গাড়ির অবস্থা সম্পর্কে মনোযোগ দিতে এবং সময়মতো মেরামত করাতে উৎসাহিত করবে।