দূর্গাপুজো ট্রিপ: এই দূর্গাপুজোর ছুটিতে প্রেমিক-প্রেমিকা এবং প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য বাঁকুড়ার জঙ্গলমহল এক চমৎকার ঠিকানা। বাঁকুড়া শহর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে, ঝিলিমিলি এবং সুতানের মধ্য দিয়ে বিস্তীর্ণ বারোমাইলের জঙ্গল পার হলে পৌঁছানো যায় ট্রি হাউস। এখানে শহরের হট্টগোল নেই, শুধু নিস্তব্ধ জঙ্গল আর শাল, শিমূল ও মহুয়া গাছের ছায়া। নৌকা, ওয়াচ টাওয়ার এবং বাংলোর মাধ্যমে ভ্রমণকারীরা চারটি শান্ত দিন ও রাত উপভোগ করতে পারেন, যা দূর্গাপুজোর বিশেষ আনন্দ বাড়ায়।
জঙ্গলমহলের আকর্ষণ ও অবস্থান
বাঁকুড়ার জঙ্গলমহল বছর ধরে অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পর্যটকদের জন্য প্রিয় ঠিকানা। ঝিলিমিলি, সুতান, তালবেড়িয়া এবং বড়দি পাহাড় এই অঞ্চলের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র। শহরের ভিড় থেকে দূরে অবস্থিত এই জায়গায় প্রকৃতির নীরবতা এবং জঙ্গলের ফিসফিসানি পর্যটকদের এক অনন্য শান্তি দেয়।এছাড়াও, বাঁকুড়ার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত এই এলাকায় ঝাড়খণ্ডের সবুজ জনপদ এবং বিশাল শাল, শিমূল ও মহুয়া গাছ ভ্রমণকারীদের মন মাতিয়ে দেয়।
ট্রি হাউস এবং থাকার সুবিধা
জঙ্গলমহলের অভ্যন্তরে থাকা ট্রি হাউস একটি বিশেষ আকর্ষণ। চারপাশে নিস্তব্ধতা, দূর্গাপুজোর ছুটিতে প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য এটি রোমান্টিক পরিবেশ তৈরি করে। নৌকা ভ্রমণ, ওয়াচ টাওয়ার থেকে জঙ্গলের দৃশ্য উপভোগ করা এবং বাংলোতে থাকা পর্যটকদের জন্য শান্তির পূর্ণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
প্রবেশপথ এবং ভ্রমণ নির্দেশিকা
বাঁকুড়া শহর থেকে রানিবাঁধ হয়ে ঝিলিমিলি এবং বারোমাইলের জঙ্গল পেরিয়ে সুতানে পৌঁছানো যায়। এখানে সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত, যা ভ্রমণকে আরও শান্তিপূর্ণ করে তোলে। কান পাতলেই জঙ্গলের নীরব ফিসফিসানি শোনা যায়, যা প্রকৃতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অনুভব করায়।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও অনন্য অভিজ্ঞতা
বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে থাকা ড্যাম এবং চারপাশের সবুজ বন ভ্রমণকারীদের মুগ্ধ করে। নৌকা ভ্রমণ করলে মনে হবে যেন প্রাকৃতিক এক স্বর্গে পৌঁছেছেন। বর্ষার মরশুমে এখানে অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণ আরও রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে।
দূর্গাপুজোর ছুটিতে এইবার রোমান্টিক এবং অ্যাডভেঞ্চার পূর্ণ অভিজ্ঞতার জন্য উপযুক্ত জায়গা হল বাঁকুড়ার জঙ্গলমহল। ঝিলিমিলি, সুতান, তালবেড়িয়া ও বড়দি পাহাড়ে অবস্থিত ট্রি হাউস এবং শান্ত জঙ্গলের পরিবেশ ভ্রমণকারীদের এক অনন্য আনন্দ দেবে। শহরের ভিড় থেকে দূরে, প্রকৃতির কোলে কাটাতে পারেন নিশ্চুপ দিন ও রাত।