দুর্গাপুর ধর্ষণ মামলা: ৮ দিনের মাথায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া নির্যাতিতা, কড়া নিরাপত্তায় মেডিক্যাল ক্যাম্পাসে অবস্থান

দুর্গাপুর ধর্ষণ মামলা: ৮ দিনের মাথায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া নির্যাতিতা, কড়া নিরাপত্তায় মেডিক্যাল ক্যাম্পাসে অবস্থান

Durgapur Case: পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে ধর্ষণের অভিযোগে নাড়া খাওয়া ঘটনায় নতুন অধ্যায়। গত ১০ অক্টোবর দ্বিতীয় বর্ষের এক মেডিক্যাল পড়ুয়াকে কলেজ চত্বরে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তাঁকে সেদিনই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার, চিকিৎসার আটদিন পর নির্যাতিতাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়। তবে হস্টেলে ফেরানো হয়নি তাঁকে। কলেজ ক্যাম্পাসের একটি আলাদা ঘরে রাখা হয়েছে তাঁর ও তাঁর মাকে। নিরাপত্তার স্বার্থে ঘরের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আটদিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া নির্যাতিতা

দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক কমিটি নির্যাতিতার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উপর নিয়মিত নজর রাখছিল। শুক্রবার তাঁদের পর্যবেক্ষণেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, এখন তিনি অনেকটাই স্থিতিশীল। তবে মানসিকভাবে ভীষণই দুর্বল অবস্থায় রয়েছেন ওই তরুণী।

নিরাপত্তার কারণে হস্টেলে ফেরানো হয়নি

মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, নিরাপত্তার কথা ভেবে নির্যাতিতাকে আপাতত হস্টেলে না পাঠিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসেরই একটি নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন তাঁর মা। ঘরের বাইরে দিনরাত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কলেজ প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, মেয়েটির নিরাপত্তাই তাঁদের প্রথম অগ্রাধিকার।

৬ অভিযুক্ত এখনও পুলিশি হেফাজতে

এই মামলায় মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে দুর্গাপুর পুলিশ। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন স্থানীয় বাসিন্দা, এবং একজন নির্যাতিতার সহপাঠী। যাঁর সঙ্গে তিনি ঘটনার দিন বাইরে গিয়েছিলেন। তদন্তে পুলিশ ইতিমধ্যেই তাঁদের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছে এবং ধৃতদের পোশাক উদ্ধার করেছে।

জবানবন্দির পর বাবার পরিকল্পনা নিয়ে ধোঁয়াশা

নির্যাতিতার বাবা আগেই জানিয়েছিলেন, মেয়ের গোপন জবানবন্দির পর তাঁরা ওড়িশা ফিরে যাবেন। যদিও এখনও সে বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ হয়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, আপাতত মেয়েটি ক্যাম্পাসেই থাকবে, যতদিন না তাঁর শারীরিক ও মানসিক পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়।

দুর্গাপুর ধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতা চিকিৎসা পড়ুয়া ৮ দিনের চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন। তবে তিনি হস্টেলে ফেরেননি। আপাতত মায়ের সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসেই থাকছেন। তাঁর নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনায় ৬ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

Leave a comment