ভোটার তালিকায় পরিবর্তন এখন আরও সুরক্ষিত: নির্বাচন কমিশনের নতুন ই-সাইন ফিচার চালু

ভোটার তালিকায় পরিবর্তন এখন আরও সুরক্ষিত: নির্বাচন কমিশনের নতুন ই-সাইন ফিচার চালু
সর্বশেষ আপডেট: 7 ঘণ্টা আগে

নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকায় সংশোধন, নাম যোগ করা বা বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়াকে সুরক্ষিত করার জন্য ই-সাইন (e-sign) ফিচার চালু করেছে। এখন প্রত্যেক আবেদনকারীকে আধার সংযুক্ত মোবাইল নম্বরে OTP যাচাইকরণ করতে হবে, যার ফলে ভুয়া ভোটার মুছে ফেলা এবং সংশোধনের ঘটনা রোধ করতে সাহায্য করবে। এই পরিবর্তন ECINet প্ল্যাটফর্মে প্রয়োগ করা হয়েছে।

E-Sign Facility: নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকায় পরিবর্তনের প্রক্রিয়াকে আরও সুরক্ষিত করেছে। ভারতজুড়ে ভোটাররা এখন নতুন নাম যোগ করতে, সংশোধন করতে বা বাদ দিতে ECINet পোর্টাল এবং অ্যাপের মাধ্যমে তাদের আধার সংযুক্ত মোবাইল নম্বরে OTP যাচাইকরণ করে আবেদন করতে পারবেন। এই পদক্ষেপ কর্ণাটকের আলন্দ বিধানসভা আসনে ভুয়া ভোটার মুছে ফেলার ঘটনার পর নেওয়া হয়েছে, যাতে ভোটার ডেটার বৈধতা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়।

ই-সাইন সুবিধা কী এবং কীভাবে কাজ করে

ই-সাইন হল ভারত সরকার কর্তৃক UIDAI-এর মাধ্যমে প্রদত্ত একটি অনলাইন ডিজিটাল সাইন পরিষেবা। এই পরিষেবার মাধ্যমে এখন ভোটাররা ভোটার আইডি-তে সংশোধন বা পরিবর্তনের জন্য তাদের আধার নম্বর দিয়ে ডিজিটাল যাচাইকরণ করতে পারবেন। এটি ভোটার ডেটার বৈধতা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং যেকোনো ভুয়া আবেদনের সম্ভাবনা অনেকটাই দূর করে।

নতুন প্রক্রিয়ায় ভোটার তালিকার অপব্যবহার কমবে

পূর্বে ভোটার আইডি নম্বর (EPIC) দিয়ে মোবাইল লিঙ্ক করে ফর্ম জমা দেওয়া হত, যার ফলে অনেক সময় ভুল নম্বর ব্যবহার করা হত। এখন ই-সাইন ফিচারের অধীনে, আবেদনকারীকে আধার নম্বর প্রবেশ করাতে হবে এবং মোবাইলে OTP পেয়ে সম্মতি দিতে হবে। তবেই ফর্ম জমা দেওয়া যাবে। এই নিয়ম ফর্ম 6 (নতুন নিবন্ধন), ফর্ম 7 (বাদ দেওয়া/আপত্তি) এবং ফর্ম 8 (সংশোধন) এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

কর্ণাটকের ঘটনা পরিবর্তনে বাধ্য করেছে

কর্ণাটকের আলন্দ বিধানসভা আসনে হাজার হাজার ভুয়া ভোটার মুছে ফেলার আবেদন সামনে আসার পর এই পরিবর্তন করা হয়েছে। তদন্তে 6,018টি অপসারণের আবেদনের মধ্যে মাত্র 24টি সঠিক পাওয়া গেছে, যেখানে অনেক আবেদনে মোবাইল নম্বর আসল ভোটারদের সাথে সংযুক্ত ছিল না। এই ঘটনা নির্বাচন কমিশনকে নিরাপত্তা এবং যাচাইকরণ প্রক্রিয়া কঠোর করতে অনুপ্রাণিত করেছে।

শারীরিক যাচাইকরণ বাধ্যতামূলক থাকবে

নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করেছে যে কোনো ভোটারের নাম সরাসরি অনলাইনে মুছে ফেলা যাবে না। এর জন্য সংশ্লিষ্ট বুথ লেভেল অফিসার (BLO) এবং নির্বাচক রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO) দ্বারা শারীরিক যাচাইকরণ বাধ্যতামূলক। প্রতিটি ক্ষেত্রে ভোটারকে তার বক্তব্য রাখার সম্পূর্ণ সুযোগ দেওয়া হবে, যাতে নাম মুছে ফেলার বা সংশোধনের প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং সুরক্ষিত থাকে।

ECINet প্ল্যাটফর্ম এবং নতুন বৈশিষ্ট্য

ECINet, যা এই বছর চালু করা হয়েছে, প্রায় 40টি পুরোনো অ্যাপস এবং পোর্টালকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসে, যার মধ্যে ERONet-ও রয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভোটাররা সহজেই অনলাইনে আবেদন করতে পারেন এবং কর্মকর্তারা সেগুলোর উপর পদক্ষেপ নিতে পারেন। এখন এতে যোগ করা ই-সাইন ফিচার পুরো প্রক্রিয়ায় সুরক্ষা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।

এই নতুন পরিবর্তনের সাথে, ভোটার তালিকা আপডেট করা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে। ভোটাররা এখন তাদের আধার নম্বর দিয়ে যাচাই করে যেকোনো ভুয়া কার্যকলাপ থেকে বাঁচতে পারবেন। ECINet এবং ই-সাইন ফিচারের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ডিজিটাল ভোটার নিবন্ধন ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ এবং নির্ভরযোগ্য করেছে।

Leave a comment